দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: আজ ৩০ সেপ্টেম্বর, তাঁর জন্মদিন। এবছর ৫৭-তে পা রাখলেন সবার প্রিয় বুম্বাদা ওরফে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কালের নিয়মে সময়ের প্রয়োজনে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক অভিনেতা এসেছেন, এবং চলেও গিয়েছেন। কারওর স্থায়ীত্ব বেশি ছিল, আবার কারও বা কম। তবে দুই প্রজন্মের মাঝে নিজে একটা সেতুর মতো হয়ে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যেকোনও সমাজসেবামূলক কাজে ডাকলেই হাসিমুখে সাড়া দেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এবারও তাই করলেন। অনন্যভাবে পালন করলেন নিজের ৫৭তম জন্মদিন।
তবে কারও আমন্ত্রণে নয়, গিয়েছেন স্বেচ্ছায়। সোমবার সকাল হতেই শুভেচ্ছাবার্তার বন্যা বয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। প্রিয় বুম্বাদার জন্মদিন বলে কথা, দিনটা তো স্পেশ্যাল হওয়ারই কথা। তার উপর আবার ‘গুমনামি’র প্রচার। পুজো রিলিজ মানেই তো একটা অন্যরকম টেনশন। তবে এসব আর আজকাল ছুঁতে পারে না প্রসেনজিৎকে। জন্মদিনের সমস্তরকম ব্যস্ততার মাঝেই ‘বুম্বাদা’ গেলেন বারুইপুরের একটি হোমে। সেখানকার বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটালেন বেশ খানিকক্ষণ।
কেমন ছিল হোমে পালন করা জন্মদিন? রং-বেরঙের বেলুন দিয়ে সাজানো হোমের হলঘর। সব বাচ্চারা জড়ো হয়েছে তাদের প্রিয় ‘বুম্বাদা’ ওরফে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। সাদা পাঞ্জাবী-পাজামা পড়ে চিরাচরিত ভঙ্গিতে হাসিমুখে এলেন সেই হোমে। তারপর সেখানকার বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটলেন। সবাইকে কেক দেওয়া হলে নিজে খেলেনও। কিছুক্ষণ সেখানে তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তারপর সেখান থেকে বেরোন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, সেই হোমে দুর্গাপুজোও হয়। দিন দুয়েক বাদেই ষষ্ঠী। তাই পুজোর তোড়জোড়ও তুঙ্গে সেই হোমে। তবে, পুজোর শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রসেনজিতের জন্মদিনের আয়োজনে এতটুকু কমতি রাখেনি হোম কর্তৃপক্ষ। এর আগেও টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এই হোমে এসেছেন, বলে জানা গিয়েছে।
শৈশবেই টলিউডের সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল তাঁর। বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরেই প্রথম ক্যামেরার সামনে ধরা দেওয়া। সেই যাত্রা আজও সগৌরবে চলছে। ‘গুমনামি’র মুক্তি ২ অক্টোবর। সেই ছবি ঘিরে নানান ব্যস্ততার মাঝেও খানিকটা যে অন্যভাবে, অন্য আমেজে জন্মদিন উপভোগ করলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তা বলাই যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.