সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিনেমা দেখতে গেলেই নির্ধারিত টিকিটের দামের সঙ্গে আরও ৫ টাকা যোগ করে নিন। কিংবা বাড়তি আরও ৫ টাকা বরাদ্দ করে নিন। কারণ, খুব শিগগিরিই বাড়তে চলেছে সিনেমার টিকিটের দাম। সম্প্রতি, টিকিটের পরিষেবা কর বাড়ানোর দাবি উঠেছিল প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষ এবং ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচারস অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ ইমপার তরফে। আর সেই সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর কোপ পড়ল হল টিকিটের উপর।
[আরও পড়ুন: সবার জন্য শিক্ষা, অধিকারের নয়া পরিভাষা ‘সুপার ৩০’]
সূত্রের খবর, রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের তরফে অতি শীঘ্রই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হতে চলেছে, যেখানে সিনেমা হলগুলিকে সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আর এই বিজ্ঞপ্তি জারি হলেই সিনেমার টিকিটের দাম বাড়তে পারে ৩ থেকে ৫ টাকা। মূলত সমস্যা সিঙ্গল স্ক্রিনযুক্ত সিনেমা হলগুলি নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গে এই সমস্যা বহুদিনের। অনেকদিন থেকেই ধুঁকছে সিঙ্গল স্ক্রিনের প্রেক্ষাগৃহগুলি। এরাজ্যের সিনেমাহলের মালিকরা সার্ভিস চার্জ হিসেবে ২ থেকে ৩ টাকা পেয়ে থাকেন। তাঁদের দাবি, সেই অঙ্ক বাড়িয়ে ৫-১০ টাকা করা হোক। প্রথম ১৯৯৬ সালে প্রতি টিকিটে ৫০ পয়সা করে সার্ভিস চার্জ নেওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন প্রেক্ষাগৃহের মালিকরা। তারপর ২০০১ সালে ওই চার্জ বাড়িয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সিনেমা হলের ক্ষেত্রে টিকিট পিছু ৩ টাকা এবং ফ্যানযুক্ত হলে ২ টাকা করা হয়েছিল। তবে এবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সিনেমাহলের ক্ষেত্রে তা বাড়তে পারে ৫-১০ টাকা অবধি।
তবে সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর নেপথ্যে কিছু শর্ত আরোপ হতে পারে। প্রত্যেকটা টিকিটে আলাদা করে উল্লেখ থাকতে হবে সার্ভিস চার্জের। সার্ভিস চার্জের উপর আলাদা করে জিএসটি বরাদ্দ থাকবে। উপরন্তু এই খাতে আদায় করা টাকা প্রেক্ষাগৃহের মালিকপক্ষকে দিতে হবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। দর্শকদের উন্নত পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি কর্মীদের উন্নতিকল্পেও এই অর্থ ব্যয় করতে হবে। এবং এই সার্ভিস চার্জ কোন খাতে কীভাবে খরচ হচ্ছে, আলাদা করে তার তথ্য বিবরণী যাচাই করে দেখা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘অলৌকিক না লৌকিক’? অতিপ্রাকৃত বিষয় নিয়ে ছোটপর্দায় ফিরছেন প্রযোজক প্রসেনজিৎ]
উল্লেখ্য, নয়ের দশক থেকেই সিনেমার টিকিটে সার্ভিস চার্জ নেওয়া চালু হয়েছিল। তবে, মোদি সরকারের আমলে জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে অন্যান্য সব ট্যাক্স তুলে নেওয়া হয়। ফলে সার্ভিস চার্জ নেওয়া নিয়েও ধন্দ শুরু হয় একটা। কিন্তু দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলি যেমন মহারাষ্ট্র, গোয়া, ত্রিপুরা এবং ঝাড়খণ্ড-সহ একাধিক রাজ্যে প্রেক্ষাগৃহ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সার্ভিস ট্যাক্স দেওয়ার নিয়ম চালু রয়েছে। ফলে সেসব রাজ্যে এই সমস্যা এতটা প্রকট নয়। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেটে মিললে তবেই প্রেক্ষাগৃহের মালিকরা দর্শকদের থেকে সার্ভিস চার্জ নিতে পারেন। কিন্তু সরকারের সঙ্গে বৈঠক হলেও তার সমাধান মেলেনি। এর ফলস্বরূপ, ১৯ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে বসার কথা ঘোষণা করেছিল ইমপা। তবে এবার সেই জট কাটতে চলেছে৷ যদিও সিনেপ্রেমীদের পকেটের উপর চাপ বাড়ার আশঙ্কায় এখনই চিন্তার ভাঁজ তাঁদের কপালে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.