ছবি ইনস্টাগ্রাম
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য বঙ্গকন্যা প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন প্রতীক। নিজের বিয়েতে বাবাকে আমন্ত্রণ না জানালেও মা স্মিতা পাতিলের ছবি জ্বলজ্বল করছিল তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে। এবার নিজের নামের থেকে বাবার পদবিটুকুও ছেঁটে ফেললেন অভিনেতা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলিউড অভিনেতা নিজেই জানিয়ে দিলেন সেখবর।
বরাবরই স্মিতাপুত্র প্রতীককে সকলে প্রয়াত অভিনেত্রীর ‘ছায়া’ বলে থাকে। মা স্মিতার প্রভাবও রয়েছে তাঁর রন্ধ্রে রন্ধ্রে। যদিও মাকে কখনই কাছে পাননি প্রতীক। জন্মের সময়ই দুর্ভাগ্যবশত তাঁকে হারিয়েছেন। তখন স্মিতা ছিলেন ৩১ বছর বয়সি। এরপর কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। মাকে ছাড়াই নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে বড় হয়েছেন প্রতীক। অভিনয় জগতে পা রেখেছেন। অনেকেই প্রতীককে অভিনয় দুনিয়ায় তাঁর মায়ের যোগ্য উত্তরসূরি বলে মনে করেন। সদ্য বিয়েও করেছেন বঙ্গকন্যা প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রতীকের সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা মেলেনি বাবা রাজ বব্বর ও তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যর। সেখান থেকেই জল্পনার শুরু। প্রতীক নাকি নিজের বিয়েতে তাঁর বাবাকে আমন্ত্রণ জানাননি। কারণ পিতা-পুত্রের সম্পর্কের অবনতি। এবার সেই জল্পনাতে প্রতীক নিজেই সিলমোহর বসালেন।
বাবা রাজ বব্বরের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দিলেন ছেলে প্রতীক। এমনকি নিজের জীবন থেকে বাবার নামের চিহ্নটুকুও মুছে ফেললেন এই তারকাপুত্র! নিজের নাম থেকে ‘বব্বর’ পদবি ছেঁটে ফেলে নতুন নাম প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন অভিনেতা। প্রতীক বব্বর থেকে হয়ে গেলেন ‘প্রতীক স্মিতা পাতিল’। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন? জবাব দিয়েছেন প্রতীক নিজেই। সংবাদমাধ্যমকে প্রতীক জানিয়েছেন,”আমি একমাত্র আমার মায়ের পরিচয়ের সঙ্গেই জুড়ে থাকতে চাই। আমি মায়ের মতো হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছি। বাবার মতো একেবারেই হতে চাই না।” বাবার পদবি ত্যাগ করা নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন অভিনেতা। এপ্রসঙ্গে তাঁর সাফ জবাব, “আমি এই নিয়ে কিছুই ভাবছি না। আমার মন যেটা চায়, আত্মা যেটায় সায় দেয় আমি এই মুহূর্তে সেটাই করতে চাই। পদবি পাল্টানোর কারণে আমার কী ক্ষতি হবে তা নিয়ে আমি ভাবিত নই। আমি কেবলমাত্র আমার মায়ের সঙ্গে জুড়ে থাকতে চাই। আমার জন্য আমার মায়ের লেগাসি যথেষ্ট।”
স্বামীর মুখে এমন কথা শুনে মুখ খুলেছেন অভিনেতার স্ত্রী প্রিয়াও। তিনি জানিয়েছেন, “রাজ বব্বর ও তাঁর পরিবার কোনও কালেই প্রতীকের পাশে ছিলেন না। প্রতীকের সিদ্ধান্ত একান্তভাবে তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এবিষয়ে কারোর মন্তব্য করা উচিত নয়।” প্রতীকের সঙ্গে বব্বর পরিবারের সমস্যার কথা ইতিপূর্বে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেই সমস্যার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.