সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে ড্রাগ-যোগের তদন্তে একেবারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। গত সপ্তাহেই সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে (Rhea Chakraborty) গ্রেপ্তার করেছে তাঁরা। জেলে রিয়ার ভাই সৌভিক-সহ অভিনেতার প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত। এর মাঝেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে এই ইস্যুতে সারা আলি খান (Sara Ali Khan) এবং রকুলপ্রীত সিংয়ের (Rakul Preet Singh) নাম যোগ হওয়ার বিষয়টি। রিয়ার গ্রেপ্তারির পরই শোনা যায়, তিনি নাকি এনসিবির জেরায় সারা এবং রকুলের মাদক নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। যার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় দুই অভিনেত্রীকে। তালিকায় রয়েছে আরও ২৫ বলি তারকার নাম। শোনা যায়, NCB নাকি অতি সত্ত্বর এই ২ অভিনেত্রীকে সমন পাঠিয়ে তলব করতে পারে! কিন্তু এই তথ্য আদৌ কতটা সত্যি? মুখ খুললেন নারকোটিক্স বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর।
“আমার দিদি রিয়া চক্রবর্তী নয়, সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাই ওঁর জন্য ড্রাগের ব্যবস্থা করত।”- সৌভিক
NCB’র ডেপুটি ডিরেক্টর কেপিএস মালহোত্রা যাবতীয় গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে সাফ জানিয়েছেন যে, তাঁদের তরফে এখনও কোনওরকম ‘বলিউড লিস্ট’ তৈরি হয়নি। সবটাই অযৌক্তিক এবং ভ্রান্ত। তিনি বলেন, “আমরা কোনও বলিউড লিস্ট তৈরি করিনি। তালিকায় নাম রয়েছে বিভিন্ন ড্রাগ মাফিয়া ও পাচারকারীদের। এটাই বলিউডের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন মানুষ।” এমনকী সারা-রকুলপ্রীতের নাম থাকার বিষয়টিকেও গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। আসলে রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে রকুলপ্রীত সিং এবং সারা আলি খানের পুরনো কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। তার ভিত্তিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন গুজব রটছে। সুশান্ত মামলায় ন্যক্কারজনকভাবে সারা আলি খান এবং রকুলপ্রীত সিংয়ের নাম জড়ানোর তীব্র নিন্দা করে মুখ খুলেছেন জনপ্রিয় দক্ষিণী অভিনেত্রী সামন্থ আক্কিনেনি। ২ অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ‘সরি সারা, সরি রকুলপ্রীত’ নামে একটি পোস্টও করেছেন। যা বর্তমানে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল।
অন্যদিকে, নারকোটিক্স কর্তাদের জেরার মুখে সৌভিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “আমার দিদি রিয়া চক্রবর্তী নয়, সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাই ওঁর জন্য ড্রাগের ব্যবস্থা করত। এমনকী, টাকা মেটানোর দায়িত্বও ছিল স্যামুয়েলের উপরই। একবারই শুধু দিদি সুশান্তের কার্ড ব্যবহার করে বিল মিটিয়েছিল।” সুশান্ত যে দিনে ৫-৬ বার মাদক সেবন করতেন, সেকথাও জেরায় জানিয়েছেন তিনি।
“দিদি রিয়াই আমাকে হোয়্যাটসঅ্যাপে জানিয়েছিল সুশান্তের এই নেশার কথা। লিখেছিল, দিনে অন্তত ৫-৬ বার মাদক নেন সুশান্ত। তখন আমি দিদিকে বলেছিলাম, ৫ গ্রাম মতো আমি জোগাড় করে দিতে পারব। এরপরই আমার এক বন্ধু মারফৎ যোগাযোগ করি আবদুল বসিত পরিহারের সঙ্গে। ওদের রিয়া আর স্যামুয়েলের নম্বর দিয়ে দিই। পরে স্যামুয়েলই যোগাযোগ করে সব আনানোর ব্যবস্থা করে”, NCB’র জেরায় নয়া তথ্য দিলেন সৌভিক চক্রবর্তী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.