সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে বন্ধ সমস্ত শুটিং। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বেশিরভাগ মানুষ। পরিচালক, অভিনেতাদের মতো হাতে গোনা কয়েকজনকে বাদ দিলে ইন্ডাস্ট্রির বেশিরভাগ মানুষই দিন আনে দিন খায়। শুটিং বন্ধ থাকায় সমস্যার মুখে পড়েছেন তাঁরা। রাতারাতি বেকার হয়ে গিয়েছেন। অনেকেই এই সময় তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু কতদিন? তাই সতর্কতা মেনে যত তাড়াতাড়ি শুটিং করা যায়, তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে শুটিং শুরু হলেও সতর্কতার কারণে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের কাটছাঁট হতে পারে বলে জোর চর্চা ফিল্ম দুনিয়ায়।
পর্দার পিছনে হোক বা সামনে, একটি ছবি তৈরির পিছনে অনেক মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম থাকে। বস্তুত ছবি তৈরি একটি টিম ওয়ার্ক। তাই শুটিং সেটে একসঙ্গে অনেক মানুষ থাকাটা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু লকডাউনের পর সচেতনতার কারণেই শুটিংয়ের সময় অতি অল্প লোকজন নিয়ে কাজ করার কথা সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর। এত কম লোক নিয়ে শুটিং কী করে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়েও। তাই এই নিয়ে ১১ মে একটি আলোচনা সভা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিল ভারত, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ ২০টি দেশ। লকডাউনের পর শুটিংয়ের অনুমতি পাওয়া গেলে কীভাবে তা শুরু করা হবে, তা নিয়ে একটি নির্দিষ্ট নিয়মকানুন তৈরি হয় সেখানে।
ভারত থেকে এই সম্মেলনে CINTAA’র আউটরিচ কমিটির যুগ্মসচিব ও চেয়ারপার্সন অমিত বহেল অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে শুটিংয়ের সেট স্ট্রাকচার ঠিক রাখতে ভারতকে অন্যান্য দেশের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার কথা বলা হয়। এই বিষয়টির উপর জোর দিয়ে বহেল বলেছেন, “ভারতের মতো বড় দেশগুলি দেশের বাইরে অনেক ক্ষেত্রে শুটিং করে। আমরাও যেমন বিদেশে শুটিং করতে যাব, তেমনই বিদেশি প্রযোজনা সংস্থাগুলিও এখানে আসবে। সেই কারণেই শুটিং শুরুর আগে একসঙ্গে কিছু পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা জরুরি। যদি দ্বিতীয়বার এমন পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা শুটিং আবার শুরু করতে চাই। তবে জীবনের বিনিময়ে নয়।”
ওই আলোচনা সভায় আলোচিত বিষয়বস্তুর মধ্যে আরও একটি ইস্যু ছিল সিনেমাটিক ঘনিষ্ঠতা। এই সমস্যার সুরাহার জন্য সেটে একজন ভাইরোলজিস্টের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য নির্দেশিকাও কার্যকরী করার কথাও শোনা যাচ্ছে। বহেল জানিয়েছেন, “সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত যে সমস্ত নির্দেশিকা সরকার বা রাজ্য পৌর কর্পোরেশনগুলি স্থর করেছে, শুটিংয়ের সময় সেগুলি প্রয়োগ করা হবে।” তবে একটি বিষয় নিশ্চিত যে, COVID-19 শুরুর আগে যেমন সিনেমাপ্রেমীরা ছবি দেখতে অভ্যস্ত ছিল, এখন আর তা থাকবে না। সতর্কতা বজায় রেখে শুটিং আর বাকি সমস্ত কাজ করতে গেলে অদ্যোপান্ত পরিবর্তন হবে সিনেমা জগতে। সিনেমাপ্রেমীদের কাছে সেগুলি গ্রহণযোগ্য হতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.