সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত ফটোগ্রাফার নিমাই ঘোষ। বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। একসময় সত্যজিৎ রায়ের চিত্রগ্রাহক ছিলেন তিনি। একসঙ্গে কাজ করেছেন ‘গুপি গায়েন বাঘা বায়েন’, ‘আগন্তুক’-এর মতো ছবিতে। ২০১০ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করে। তাঁর প্রয়াণে টলিউডে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। কিন্তু ছবি তোলার কাজে বিরাম ছিল না। কাজকে বরাবরই ভালবাসতেন নিমাই ঘোষ। তবে কিছুদিন ধরে অসুস্থ বোধ করছিলেন। বুধবার সকালে ৭ টা ১০ মিনিট নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নিজ বাসভবনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বুধবারই কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। দেশজুড়ে এই লকডাউনের পরিস্থিতিতে কীভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তা নিয়ে চিন্তায় অনেকে। কিন্তু নিমাই ঘোষের ভাই চিত্তবাবু জানিয়েছেন, এনিয়ে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
চিত্রগ্রাহকের মৃত্যুতে টলিপাড়ায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বরাবরই হাসি-ঠাট্টা করে কাজ করতে ভালবাসতেন নিমাইবাবু। সেই কারণে টলিউডের অনেক পুরনো দিনের কলাকুশলীর অত্যন্ত প্রিয় পাত্র ছিলেন তিনি। স্বয়ং সত্যজিৎ রায় তাঁকে কাছছাড়া করতেন না। তাঁর প্রায় প্রতিটি ছবিতেই ফটোগ্রাফার থাকতেন নিমাই ঘোষ। শোনা যায়, কুড়িয়ে পাওয়া একটি ক্যামেরা নিয়ে সত্যজিতের সামনে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তাঁর ফটোগ্রাফি পছন্দ হয় মানিকবাবুর। তখন তিনি বোলপুরে ‘গুপি গায়েন বাঘা বায়েন’ ছবির শুটিং করছিলেন। সেই শুরু। তারপর থেকে সত্যজিতের ছবিতে পাকাপাকিভাবে কাজ করতে শুরু করেন তিনি। ‘ঘরে বাইরে’, ‘হীরক রাজার দেশে’, ‘আগন্তুক’-সহ অনেক ছবিতেই তিনি কাজ করেছেন। ২০০৭ সালে জাতীয় পুরস্কার জুরি বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হন নিমাই ঘোষ। ২০১০ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.