সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো মানেই বাংলা ছবির ছড়াছড়ি। অন্তত ৪ থেকে ৫টা বাংলা ছবি মুক্তি পায় প্রতি বছর পুজোয়। এখন যা অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে এবছরও ব্যতিক্রম হবে না। ইতিমধ্যেই ‘পাসওয়ার্ড’ ও ‘গুমনামি’র খবর পাওয়া গিয়েছে। এবার জানা গেল, ব্যোমকেশ বক্সির নতুন ছবি ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’-ও মুক্তি পাবে পুজোতেই। পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল ফেসবুকে একথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে মুক্তি পেয়েছে ছবির নতুন একটি পোস্টারও।
ব্যোমকেশ বক্সিকে যে ক’জন পরিচালক পর্দায় এনেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম অঞ্জন দত্ত। হালফিলের বাঙালি দর্শকের সঙ্গে ব্যোমকেশের পরিচালনা করিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’ থেকে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। উপদেষ্টা হয়ে দ্রোণাচার্যের মতো তিনি পাশ থেকে উপদেশ দেবেন সায়ন্তনকে। চিত্রনাট্য লেখার গুরুদায়িত্বটাও নিজের হাতেই তুলে নিয়েছেন তিনি। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মগ্নমৈনাক’ গল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ছবিটি।
‘মগ্নমৈনাক’-এর পটভূমিকা স্বাধীনতার ঠিক পরের। গল্পে মিশে রয়েছে দেশদ্রোহিতার গন্ধ। সন্তোষ সমাদ্দারের বাড়িতে থাকে হেনা। অথচ সে সন্তোষবাবুর কেউ হয় না। লতায়-পাতায় আত্মীয়ও নয়। কিন্তু বাড়ির লোক যা সুবিধা পায় না, সেই সুবিধা ভোগ করে হেনা। এই হেনা হঠাৎই একদিন ছাদ থেকে পড়ে মারা যায়। রহস্যোদঘাটনের কাজে নেমে পড়েন ব্যোমকেশ। সঙ্গে তাঁর চিরন্তন সঙ্গী অজিত। তদন্তে করতে গিয়ে জানা যায় বাড়ির দুই ছেলে যুগল আর উদয়ের নজর ছিল হেনার দিকে। সন্তোষবাবুর সেক্রেটারি রবি বর্মাও সন্দেহের বাইরে ছিল না। ক্রমে জানা যায় এক বাঁশিওয়ালার খবর। শহরের অন্য এক প্রান্তে খোঁজ মেলে একটি ঘরের। যার চাবি ছিল হেনার কাছে। কিন্তু ঘরের ব্যাপারে ঘুণাক্ষরেও জানত না কেউ। এই নিয়েই রহস্য ক্রমে জট বেঁধেছে ‘মগ্নমৈনাক’-এ।
ছবিতে ব্যোমকেশ বক্সির ভূমিকায় দেখা যাবে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। অজিতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। সংগীত পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন নীল দত্ত। ছবিটি প্রযোজনা করেছে গ্রিনচাট এন্টারটেনমেন্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.