সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিকটক যে অনেকের জন্যই রোজগারর একটা অন্য উৎস ছিল, তা বোধহয় অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই! তাই কেন্দ্রীয় সরকারের ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার খবরে টিকটককে বিদায় জানাতে গিয়ে মুষড়ে পড়েছেন অনেকেই। আর তাঁদের হয়েই সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) সওয়াল করেছিলেন যে, “টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ায় বেকার হয়ে গেল অনেক মানুষ! সরকার কি তাঁদের জন্য কোনও বিকল্প আয়ের পথ খুঁজেছে?” ব্যস, নুসরতের এই প্রশ্ন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের একাংশের বাক্যবাণ ছুঁটল অভিনেত্রীর দিকে!
প্রসঙ্গত, বুধবারই চিনা অ্যাপ টিকটক (TikTok) নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। যাঁর নিজেরও কিনা টিকটকে অ্যাকাউন্ট ছিল। ফলোয়ারের সংখ্যাও প্রায় ১৪ লক্ষের বেশি। অভিনেত্রীর কথায়, “এই চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে নোটবন্দির মতোই চমক দিতে চাইলেন কি প্রধানমন্ত্রী? জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে হলে আমার পুরো সমর্থন রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী তো বেশ কিছু চিনা সংস্থায় বিনিয়োগ করেছে ভারত সরকার। তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারও এতদিন চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলে এসেছে।” “তাহলে, প্রধানমন্ত্রীর চিন সফর আর কূটনীতির কী ফলাফল দাঁড়াল?” প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ অভিনেত্রী।
তাঁর কথায়, “টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ায় বেকার হল অনেক মানুষ! আমার সন্দেহ রয়েছে, শুধুমাত্র কয়েকটি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করলেই কি এই গুরুতর সমস্যার সমাধান হবে?” নুসরতের এই মন্তব্যের পরই নেটিজেনদের রোষানলে পড়েন তিনি।
নেটিজেনদের একাংশের মন্তব্য, “সীমান্তে যেখানে জওয়ানরা শহিদ হচ্ছেন, সেখানে আপনি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন কথা বলেন কী করে?” অনেকেই আবার এও মন্তব্য করতে ছাড়েননি যে, “আপনার নিজস্ব টিকটক অ্যাকাউন্টও বন্ধ হয়ে গেল বলেই কি এত দুঃখ?” নুসরত অবশ্য ট্রোলারদের কথায় কোনও দিনই কর্ণপাত করেননি। উল্লেখ্য, লকডাউনে যখন রাজ্য তথা গোটা দেশে একাধিক সমস্যার উত্থান হয়েছে, তখন টিকটকে নাচের ভিডিও পোস্ট করে বহুল সমালোচিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ।
প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগে মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহানের টিকটক অ্যাকাউন্ট নিয়ে খোঁচা দিয়ে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র বলেছিলেন, “টিকটক তো বন্ধ হল, এবার যাদবপুর-বসিরহাটের সাংসদদের কোথায় দেখতে পাবেন?” শ্রীলেখার মন্তব্যের অবশ্য অনেকেই সমর্থন করেছিলেন। এমনকী, অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্রও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.