সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে যখন দিল্লিতে শো করতে গিয়ে উন্মত্ত শ্রোতাদের ঢিলের মুখে পড়তে হয়েছে সোনু নিগমকে, তখন মেলবোর্নে কনসার্ট করতে গিয়ে প্রায় একই পরিস্থিতির সম্মুখীন নেহা কক্কর। তিন ঘণ্টা দেরিতে আসায় মঞ্চে দাঁড়ানো গায়িকাকে শুনতে হয়েছে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। লাগাতার কটুক্তির মুখে পড়ে শ্রোতা-দর্শকদের সামনেই কেঁদে ফেলেন ‘অপমানিত’ নেহা। বিদেশের মাটিতে দিদির চোখের জল দেখে এবার সোশাল মিডিয়ায় গর্জে উঠলেন ভাই টনি কক্কর।
সম্প্রতি মেলবোর্নে কনসার্টে গিয়েছিলেন নেহা কক্কর (Neha Kakkar)। আর সেখানে মঞ্চে উঠতেই শ্রোতাদের রোষানলে পড়তে হয় গায়িকাকে। একের পর এক কটাক্ষ ধেয়ে আসে তাঁর দিকে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে কেঁদে ফেলেন নেহা! ঠিক কী ঘটেছে? আসলে মেলবোর্নের এই শোয়ে গায়িকা তিন ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছান। সন্ধে সাড়ে সাতটায় মঞ্চে ওঠার কথা থাকলেও গায়িকা অনুষ্ঠানে আসেন রাত দশটায়। আর তাতেই যত বিপত্তি! শ্রোতারা একটা সময়ের পর অধৈর্য হয়ে পড়েন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। ভাইরাল ভিডিওতে উপস্থিত দর্শকদের কাছে নেহা কক্করকে ক্ষমাও চাইতে দেখা যায়। কিন্তু তাতেও বাঁধ মানেনি শ্রোতাদের ক্ষোভ! কেই বলেন, “আপনি হোটেলে ফিরে যান।” কারও মন্তব্য “এটা ভারত নয়, অস্ট্রেলিয়া।” কারও কটুক্তি, “খুব ভালো অভিনয় করলেন। কিন্তু মনে রাখবেন এটা ইন্ডিয়ান আইডল নয়।” যার ফলে সকলের সামনেই অঝোরে কেঁদে ফেলেন গায়িকা। এবার দিদি নেহার হয়ে মাঠে নামলেন টনি কক্কর। তিনি নিজেও জনপ্রিয় গায়ক। সোশাল মিডিয়া কারও নামোল্লেখ না করেই দীর্ঘ পোস্টে তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, “শালীনতা বজায় রাখার দায় কি একা শিল্পীর?”
চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে টনি কক্কর লিখেছেন, ‘ধরুন, আমি আমার শহরে আপনাকে আমন্ত্রণ জানালাম একটা শোয়ের জন্য। আর আয়োজনের সমস্ত দায়দায়িত্ব নিজেই নিলাম। সেটা হোটেল বুক করা থেকে শুরু করে ভেন্যুতে যাওয়ার গাড়ির বন্দোবস্ত করা সব। কিন্তু এবার আপনি পৌঁছে দেখলেন সেসব কিছুই হয়নি। টিকিটের ব্যবস্থা নেই। হোটেলে বুকিং নেই। বিমানবন্দরে গাড়ি পাঠানো হল না। সেই পরিস্থিতিতে কাকে দুষবেন? এই একটাই প্রশ্ন। কারও উদ্দেশে নয়। শুধু প্রশ্নটা রাখলাম আপনাদের কাছে।’ আরেক পোস্টে টনি কক্করের প্রশ্ন, ‘শিল্পীরা তো শালীনতা বজায় রাখবে, আর জনতা?’ গায়কের পোস্টে সোশাল মিডিয়ায় ঝড় উঠে যায়। নেটপাড়ার একাংশের কথায়, ‘এই তো এতক্ষণে সত্যিটা সামনে এল।’ কারও কথায়, ‘অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি অন্তত মুখ খুললেন বিদেশের মাটিতে ভারতীয় শিল্পীর অপমানের প্রতিবাদে।’
প্রসঙ্গত, মেলবোর্নের শোয়ে দেরি করে পৌঁছনোর জন্য ক্ষমা চেয়ে নেহা কক্কর বলেছিলেন, “আপনারা সত্যিই খুব ভালো শ্রোতা। এতক্ষণ ধরে আমার গান শোনার জন্য অপেক্ষা করেছেন। আমি জীবনে কখনও দেরি করে অনুষ্ঠানে যাইনি। কারণ দেরি করাটা আমার খুবই অপছন্দের বিষয়। আমি সত্যিই দুঃখিত। আপনাদের এই সহযোগিতা আমি আজীবন মনে রাখব।” তবে তাতে চিঁড়ে ভেজেনি! পালটা গায়িকাকে আক্রমণ করতে থাকে শ্রোতারা। তার পরই উদ্যোক্তাদের কড়া সমালোচনা করে পোস্ট টনি কক্করের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.