সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহিষ্কৃত বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মার মহম্মদ মন্তব্যে ফের দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল অসহিষ্ণুতা বিতর্ক। রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটালেন প্রখ্যাত অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। তাঁর অভিযোগ, শাসকদলের মদতেই দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে পড়ছে। সরকার কার্যত নীরব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, এই বিষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতেই হবে।
বিশ্বনবী হজরত মহম্মদকে (Hazrat Mohammad) নিয়ে মন্তব্যের জন্য বিজেপি ইতিমধ্যেই নুপুর শর্মাকে সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু শাহর বক্তব্য, “এটা অনেক দেরিতে নেওয়া নগণ্য পদক্ষেপ। ওই মন্তব্যের পর প্রায় এক সপ্তাহ এ নিয়ে মুখই খোলেনি সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ করা উচিত। শাহ বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, এই লোকগুলিকে একটু সুপরামর্শ দিন। হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে (Dharma Sangsad) যেগুলি বলা হয়েছে, সেগুলি যদি আপনি বিশ্বাস না করে থাকেন তাহলে প্রকাশ্যে বলুন। আর যদি বিশ্বাস করে থাকেন তাহলেও প্রকাশ্যে বলুন।”
বিজেপির (BJP) বক্তব্য ছিল নুপুর শর্মার মতো লোকেরা এদেশে প্রান্তিক শক্তি। কিন্তু নাসিরুদ্দিন শাহর বক্তব্য, এরা প্রান্তিক শক্তি নয়। এরা শাসকদলের আশ্রিত। তাঁর সাফ কথা,”এই ধরনের ঘটনা আবারও ঘটলে আমি অবাক হব না। সমস্যা হল এদেশে কেউ শান্তির কথা বললে তাঁকে জেলে যেতে হয়। কেউ গণহত্যার কথা বললে তাঁকে সামান্য শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। দেশে চরম দ্বিচারিতা চলছে।”
শাহর এই মন্তব্য তুলে ধরেই তাঁকে খোঁচা দিয়েছেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) ছবির প্রযোজক বিবেক অগ্নিহোত্রী। শাহকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন,”আপনি ঠিকই বলেছেন, আমি যখন কাশ্মীরি হিন্দুদের (Kashmiri Pandits) গণহত্যার কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম তখন আমাকেও হেনস্তা করা হয়েছে। শাস্তি দেওয়া হয়েছে।” আসলে ওই সাক্ষাৎকারে নাসিরুদ্দিন শাহ বিবেকের ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলসে’রও সমালোচনা করেছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন, সরকার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে, এই ধরনের মনগড়া ছবিকে উৎসাহ দিচ্ছে। সেই সমালোচনারই পালটা এল বিবেকের মুখ থেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.