সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে মুম্বই পুলিশ। তারপর বিহার পুলিশ। তারপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আবার সিবিআই (CBI)। আর এবারে সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুর ঘটনায় মাদক চক্রের যোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তভার নিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
Narcotics Control Bureau registers a case in #SushantSinghRajput‘s death. pic.twitter.com/PhBj2mZRb6
— ANI (@ANI) August 26, 2020
বুধবারই NCB-র দপ্তরে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সুশান্ত মামলায় রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty) এবং সুশান্তের প্রাক্তন বিজনেস ম্যানেজার তথা রিয়ার বর্তমান ম্যানেজার শ্রুতি মোদির (Shruti Modi) হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ঘটনায় মাদক যোগ খতিয়ে দেখতে তৎপর হয়েছে NCB। শোনা গিয়েছে, সুশান্তকে নিয়ে রিয়া ও শ্রুতির মধ্যে জানুয়ারি মাসে কথোপকথন হয়েছিল। যাতে সুশান্তের মাদকাসক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, একটি মিটিংয়ে গিয়ে নাকি সুশান্ত কেঁদে ফেলেছিলেন। মাদক ছেড়ে দেওয়ার কথাও দিয়েছিলেন। রিয়ার সঙ্গে সুশান্তের বাড়ির ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির এক কর্মী জয়া সাহা সঙ্গেও রিয়ার চ্যাট হয়েছিল। সেখানেও মারিজুয়ানা, এমডিএমএ-র মতো কিছু নিষিদ্ধ মাদকের কথা উঠে এসেছিল। গৌরব আর্য নামের একজন ড্রাগ ব্যবসায়ীর সঙ্গেও রিয়া যোগাযোগ করেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছিল। যদিও রিয়ার আইনজীবী দাবি করেন রিয়া কোনওদিন মাদকাসক্ত ছিলেন না। প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করানো যেতে পারে বলে জানান তিনি। এরই মধ্যে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও (Subramanian Swamy) সুশান্ত মামলায় দুবাই যোগের কথা টুইট করেন। সুশান্ত কাণ্ডে মাদক যোগের তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তভার নিয়েছে NCB। শোনা গিয়েছে, রিয়ার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে পারে NCB।
এদিকে বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে সিবিআইয়ের সূত্র ধরে দাবি করা হয়েছে, সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের (Disha Salian) মৃত্যুর দিন নাকি রিয়া সুশান্তকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আটটি হার্ড ড্রাইভের তথ্য অভিনেতার সামনে নষ্ট করা হয়েছিল সিদ্ধার্থ পিঠানি, স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং দীপেশ সাওয়ান্তের উপস্থিতিতে। বিশেষজ্ঞ ডেকে নাকি সমস্ত তথ্য নষ্ট করা হয়েছিল।
এদিকে গত সপ্তাহে সুশান্ত মামলার ভার কাঁধে নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত অভিনেতার রাঁধুনি নীরজ, পরিচারক কেশব বচনার, বন্ধু তথা ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানি, হিসেবরক্ষক সন্দীপ শ্রীধর ও বাড়ির ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। মুম্বই পুলিশের ইন্সপেক্টর ভূষণ বেলেনকর এবং সাব-ইনস্পেক্টর বৈভব জগপতকেও জেরার জন্য সমন পাঠিয়েছে সিবিআই। দু’জনেই করোনায় আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। শোনা গিয়েছে, তার জেরেই মুম্বই পুলিশের কোনও বড় কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.