সন্দীপ্তা ভঞ্জ: গোটা বিশ্বজুড়ে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটা নরখেকো ভাইরাস পালটে দিয়েছে আমাদের সবার জীবনের গতিপথ। চোখের সামনে পালটে গিয়েছে চেনা শহর, চেনা অলি-গলি। এরই মাঝে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শোনা যাচ্ছে হাজার-হাজার পরিযায়ী শ্রমিকদের হাহাকার। মাইলের পর মাইল হেঁটে চলেছে ওরা। কোলের সন্তানকে কাঁধে চাপিয়ে, সদ্যোজাতকে তোয়ালে মুড়ে কেউ বা আবার বৃদ্ধ মা-বাবার অন্ধের যষ্ঠি হয়ে বাড়ির পথে এগোচ্ছে। ক্লান্তিতে শরীর অসাড় হলেও ওরা হেঁটেই চলেছে। মৃত্যুও কম ঘটেনি। দেশের কোনও না কোনও প্রান্তের মায়ের কোল খালি হয়েছে। সন্তান বিয়োগ কেউ বা আবার পিতৃবিয়োগে নির্জনেই অঝোরে কেঁদে চলেছেন। এরকমই এক জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে নন্দিতা রায়ের ছবি ‘কাজল মাসি’। যে ছবি বলে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকদের মায়েদের মনের কথা। তাঁদের আশঙ্কার কথা।
বৃহস্পতিবার উইন্ডোজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে মুক্তি পেল ‘কাজল মাসি’। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন খেয়ালি দস্তিদার এবং ‘প্রজাপতি বিস্কুট’ খ্যাত আদিত্য সেনগুপ্ত। এই প্রথম মা খেয়ালি দস্তিদারের সঙ্গে স্ক্রিনস্পেস শেয়ার করলেন আদিত্য। প্রসঙ্গত, উইন্ডোজের হাত ধরেই অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন আদিত্য। এছাড়াও রয়েছেন গৌরী মুখোপাধ্যায় এবং দেবনাথ চট্টোপাধ্যায়।
‘কাজল মাসি’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন খেয়ালি দস্তিদার। পরিচালক নন্দিতা রায় তাঁর গল্পে ‘কাজল মাসি’কে প্রতীকী চরিত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। খেয়ালির চরিত্রর মধ্য দিয়েই তুলে ধরেছেন সেসব মায়েদের কথা যাঁরা সন্তানের ভিন রাজ্য থেকে আসার অপেক্ষায় আকুল হয়ে অপেক্ষা করছেন। ভাতের থালা সামনে পেয়েও যাঁরা রোজ কেঁদে চলেছেন শুধুমাত্র এই চিন্তায় যে সন্তানের মুখে একবেলা অন্ন জুটল কিনা! দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই রয়েছেন এই ‘কাজল মাসিরা’। যাঁরা পেটের দায়ে বাবুদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের সন্তানদের মুখে ভাত তুলে দিলেও নিজের সন্তানের জন্য নীরবেই কেঁদে চলেছেন।
গল্পের ভাবনা ও চিত্রনাট্য নন্দিতা রায়ের। সামাজিক দূরত্ব মেনে এই ছবির শুটিং হয়েছে বাড়িতেই। প্রায় ১০ মিনিটের এই শর্টফিল্ম সম্পাদনা করেছেন মলয় লাহা। মিউজিকের দায়িত্বে প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.