সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার মামলা খারিজ হয়ে যায়। যথাযোগ্য প্রমাণের অভাবে নানাকে ক্লিনচিট দিয়েছে মুম্বই পুলিশ। মুম্বইয়ের ওশিওয়াড়া থানার তরফে স্থানীয় আদালতে রিপোর্ট পেশ করে জানানো হয় অভিনেতার বিরুদ্ধে যথাযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর সেই কারণেই নানার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া #MeToo মামলা টেনে নিয়ে যাওয়ার কোনও কারণ দেখছেন না তাঁরা। বৃহস্পতিবার নানা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও তনুশ্রী কিন্তু মামলা লড়ে যাবেন বলেই জানিয়েছিলেন। নানার বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তনুশ্রী।
[আরও পড়ুন: যৌন হেনস্তার মামলায় নানা পাটেকরকে স্বস্তি দিল পুলিশ]
যৌন হেনস্তা মামলায় নানা পাটেকরের এই ক্লিনচিট পাওয়ার ঘটনাকে তনুশ্রী ‘বিরক্তিকর’ আখ্যা দিলেন। তিনি বলেন, ‘‘বিরক্তিকর। কারণ, নানা প্রথম থেকেই ক্লিনচিট পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমি আগেও বহু সাক্ষাৎকারে বলেছি, মুখ বন্ধ রাখার জন্য হুমকি দিয়ে ফোন করা হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের। পুলিশের কাছে যাতে তাঁরা বয়ান রেকর্ড না করাতে যেতে পারেন, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে। ১০ জন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তার মধ্যে মাত্র দুজনের বয়ান রেকর্ড করা সম্ভব হয়েছিল। বাকিরা তো ফোনে হুমকি পাওয়ার পর আর সামনেই আসেননি।’’ এছাড়াও তনুশ্রীর প্রশ্ন তুলেছেন রিপোর্ট পেশ নিয়ে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কেন এত তাড়াহুড়ো করে বি সামারি রিপোর্ট দেওয়া হল? তবে আমি একেবারেই চমকে যাইনি। যদি ধর্ষণে অভিযুক্ত অলোকনাথ ক্লিন চিট পেয়ে অভিনয়ে ফিরতে পারেন, তা হলে নানা রেহাই পাবেন না কেন? ফের নিরীহ মেয়েদের হেনস্থা করবেন! ঈশ্বরের বিচারের আশায় রইলাম। আমি লড়াই চালিয়ে যাব।’’
[আরও পড়ুন: শিবির বদলাচ্ছেন রুদ্রনীল? এনআরএস কাণ্ডে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সরব অভিনেতা]
মুম্বই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পরমজিৎ সিং দাহিয়া জানিয়েছেন, আন্ধেরির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ‘বি সামারি’ রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে ওশিওয়াড়া থানার তরফে। চার্জশিট তৈরির জন্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যখন যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় না, তখন এই ‘বি সামারি’ রিপোর্ট পেশ করা হয়। প্রসঙ্গত, গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তনুশ্রী দত্ত। অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে মুম্বই পুলিশে মামলা দায়ের করেছিলেন। শুধু নানা পাটেকরই নন, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচারিয়া, প্রযোজক অমিত সিদ্দিকি এবং রাকেশ সারেঙ্গিও এই অভিযোগের বাইরে ছিলেন না। তাঁর অভিযোগ, ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির একটি গানের দৃশ্য শুট করার সময় নানা একাধিকবার তাঁকে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করেছেন। ঘনিষ্ঠ হয়ে নাচ করার জন্য জোর করেছিলেন গণেশ। অন্যদিকে, তনুশ্রী দত্তের আইনজীবী নীতিন সতপুতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নানা পুলিশকে দীর্ঘদিন ধরেই চাপ দিয়ে এসেছেন। বিভ্রান্তও করেছেন। পুলিশ যে নানার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ পায়নি বলে রিপোর্ট দিয়েছে, সেটাও নস্যাৎ করেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.