সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহন্মুম্বই পৌরসভার মেয়র কিশোরি পেড়নেকররে মন্তব্য, “কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকেরা এলে, তাঁদেরকেও মুম্বই পুলিশের কাছ থেকে প্রথমে অনুমতি নিতে হবে। কারণ, এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ যে হারে বেড়ে চলেছে, কোনওভাবে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নতুবা তাঁদেরকেও আইসোলেশনে যেতে হবে।” স্বাভাবিকভাবেই মেয়রের এই মন্তব্যের পর সুশান্ত (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুর তদন্তে মুম্বই প্রশাসন বাঁধা দিচ্ছে বলে ফের সরব হয়েছেন নেটজনতার একাংশ। উল্লেখ্য, বিহার থেকে তদন্ত করতে আসা পুলিশ আধিকারিক বিনয় তিওয়ারিকে কোয়ারেন্টাইনে যেতে হয়েছিল। তদন্ত না করে একমাত্র বিহার ফিরে যাওয়ার শর্তসাপেক্ষেই তাঁকে ছাড়া হয়েছে। এরপর ফের সিবিআই তদন্ত নিয়ে মুম্বইয়ের মেয়রের এহেন মন্তব্যকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না সুশান্ত অনুরাগীরা।
অন্যদিকে, সুশান্তকে ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার দাবি এবার সুদূর ক্যালিফোর্নিয়াতেও। মার্কিন মুলুকের এক বিলবোর্ডে ঝকঝক করছে অভিনেতার ছবি। পাশে লেখা, ‘জাস্টিস অর সুশান্ত সিং রাজপুত।’ প্রয়াত অভিনেতার দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি শনিবার সকালেই শেয়ার করেছেন এই ছবি। ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরের পার্কওয়ে মলের বাহিরপথের ঠিক সামনেরই এক উঁচু বিলবোর্ডে সুশান্তকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়ার স্বাক্ষর জ্বলজ্বল করছে একেবারে। দিদি শ্বেতা সেই ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “ভাইয়ের নামে বিলবোর্ড। এবার বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদী আওয়াজ উঠেছে।”
প্রসঙ্গত, রিয়া ইডির কাছে দাবি করেছে সুশান্তের একটি মাত্র ‘সম্পত্তি’ তাঁর কাছে রয়েছে। রিয়ার (Rhea Chakraborty) দাবি, ছিঁছোড়ে ছবির স্টিকার লাগানো একটি জলের বোতল ছাড়া সুশান্তের আর কোনও সম্পত্তি তাঁর কাছে নেই। এছাড়া, একটি নোটবুকের হাতের লেখাকেও সুশান্তের বলেই চিহ্নিত করেছেন রিয়া। যে পাতায় লেখা রয়েছে এমন সব মানুষের না, যাঁদের কাছে চিরজীবন কৃতজ্ঞ থাকার কথা জানিয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে জানিয়েছেন, “আর সি নোটবুকে এই নোট লিখে গিয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত।” জবানবন্দিতে রিয়া বলেন, “এটা সুশান্তেরই হাতের লেখা। লিল্লু মানে সৌভিক, বেবু মানে আমি, স্যার অর্থাত্ আমার বাবা এবং ম্যাম মানে আমার মা। ফাজ হল ওর পোষ্য কুকুর।”
প্রিয় অভিনেতার এমন পরিণতি মেনে নিতে পারেননি সুশান্তের অগুনতি অনুরাগী থেকে শুরু করে তার পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই। তাই একটাই দাবি তুলেছিলেন— ‘সুশান্তের জন্যে ন্যায় বিচার চাই।’ গলা মিলিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক নেতাও। অবশেষে বিহার সরকারের সুপারিশে কেন্দ্রীয় সরকার সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত তুলে দেয় সিবিআইয়ের হাতে। ইতিমধ্যে সুশান্তের প্রেমিকাকে গতকাল জেরা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। এই সবের মধ্যেই ফের একবার সোচ্চার হলেন সুশান্ত সমর্থকরা। সূদুর বিদেশ থেকেও সরব হয়েছেন অনুরাগীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.