সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় আমজনতাকে ভরসা জোগাতে আগেই রাস্তায় নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও হাসপাতালে তো কখনও বাজারে, কখনও আবার ভবঘুরেদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন তিনি। এবার তাঁর দেখানো পথেই হাঁটলেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান। শনিবার সকালে তিনি হাজির হয়েছিলেন চেতলা বাজারে। কথা বলেন আমজনতার সঙ্গে। তাঁদের নিয়ম মেনে সতর্ক হয়ে চলার পাঠও দেন।
শনিবার রাজ্যের লকডাউনের পঞ্চম দিন। চিকিৎসকরা বলছেন, এদিনই করোনা সংক্রমণের স্টেজ থ্রি-তে ঢুকতে পারে ভারত। সেক্ষেত্রে জনঘনত্বপূর্ণ দেশে মহামারি রোখা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। ইতিমধ্যে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে এক কিশোর ও দুই শিশু রয়েছে। তারপরেও আমজনতার একাংশের হুঁশ ফিরছে না। বাজারে, চায়ের দোকানে আড্ডা জমাচ্ছেন তাঁরা। এবার তাঁদের সতর্ক করতে মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই হাঁটলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরতও।
এদিন সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন বাজারে বেশ ভিড় ছিল। দোকানগুলিতে কেনাকাটা করতে গিয়ে মানুষজন কিছুটা দূরে-দূরে দাঁড়ালেও উপযুক্ত দূরত্ব ছিল না। কোথাও কোথাও তো আবার চায়ের দোকানে খোশ আড্ডায় মেতেছিল বঙ্গবাসী। এরই মাঝে মাস্কে মুখ ঢেকে চেতলা বাজারে হাজির হন সাংসদ নুসরত। বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কীভাবে সচেতন হয়ে কেনাকাটা করতে করতে হবে, কতটা দূরে-দূরে থাকতে দাঁড়াতে হবে তা তিনি বুঝিয়ে দেন। পাশাপাশি, সকলের সুবিধা-অসুবিধার কথাও জানতে চান সাংসদ। ১৫-২০ মিনিট সেখানে ছিলেন তিনি। ইতিপূর্বে হ্যান্ড স্যানিটাইডার, মাস্ক বিলি করেছিলেন তিনি। কিন্তু এদিন বাজারে অভিনেত্রী-সাংসদ হাজির হতেই ভিড় জমে যায়। ফলে সোশ্যাস ডিসন্ট্যান্সিং কতটা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.