সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিনা মেঘে বজ্রপাত। শুক্রবার সকাল সকাল শ্রীদেবীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে এমনই অনুভূতি হয়েছিল দেশবাসীর। ভেঙে পড়েছিলেন তাঁর ফ্যনরা। এমনকী যাঁরা তথাকথিত শ্রীদেবী ভক্ত নন, তাঁরাও আহত হয়েছিলেন এ সংবাদে। কেননা এ তো তাঁর চলে যাওয়ার সময় নয়। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তাই নানা স্মৃতিচারণা। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিও। কিন্তু শ্রীদেবীকে শ্রদ্ধা জানাতে নারাজ মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা। বিশেষত বিজেপি নেতারা।
[ জটিলতার অবসান, শ্রীদেবীর মরদেহ দেশে ফেরানোর ছাড়পত্র দিল দুবাই ]
সংবাদমাধ্যম নিউজএক্স-এর খবর অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার সদস্যরা প্রথমে শ্রীদেবীকে শ্রদ্ধা জানাবে বলেই সম্মত হয়েছিলেন। সোমবার ছিল সে রাজ্যের বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন। সেদিনই এই কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, মৃত্যুর সময় মদ্যপ ছিলেন শ্রীদেবী। সোমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ হয়। জানা যায়, হার্ট অ্যাটাকে নয়, বাথটবের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর। একই সঙ্গে তাঁর রক্তে অ্যালকোহলের নমুনাও পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ মদ্যপ অবস্থায় বেসামাল হয়েই মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর। যদিও তাঁর পারিবারিক বন্ধুরা বলছেন শ্রীদেবী মদ ছুঁতেন না। সপা নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ অমর সিং সোমবারই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। একই দাবি বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীরও। শ্রীদেবী যে মদ্যপ হতে পারেন এ কথা তাঁর বহু ঘনিষ্ঠজনেরা মেনে নিতে পারছেন না। এদিকে মদ্যপ থাকার খবর সামনে আসা মাত্র বেঁকে বসেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের দাবি, মদ্যপ হয়ে যিনি প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর জন্য বিধানসভায় শোক প্রকাশ সমিচীন নয়। মূলত তাঁদের আপত্তিতেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় শ্রীদেবীর নাম।
[ চাঁদনি এসেও এল না তাঁর জীবনে… ]
এদিকে অভিনেত্রী যে মদ্যপ ছিলেন তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। তাঁর মাথার গভীর ক্ষতচিহ্নও কিছু প্রশ্ন তুলেছিল। তবে সবদিক খতিয়ে দেখে আজ দেহ ফেরানোর ছাড়পত্র দিয়েছে দুবাই পুলিশ। ফলে মঙ্গলবার সন্ধেয় দেশে পৌঁছতে পারে শ্রীদেবীর মরদেহ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.