Advertisement
Advertisement

জয়পুরে প্রয়াত মা, মুম্বইয়ে ভিডিও কনফারেন্সে শেষকৃত্য দেখলেন ইরফান

লকডাউনের কারণে ইরফানের মায়ের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে পারেননি অনেক আত্মীয়।

Mother passes away in Jaipur, Irrfan Khan attends funeral via video conferencing
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:April 26, 2020 12:58 pm
  • Updated:April 26, 2020 12:59 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের ফলে বন্ধ সমস্ত যানবাহন। তাই মায়ের প্রয়াণের খবর পেয়েও জয়পুর পৌঁছতে পারলেন না ইরফান খান। মুম্বইয়ের বাড়িতে বসেই ভিডিও কনফারেন্সে শেষকৃত্যে যোগ দিলেন তিনি।

শনিবার জয়পুরের বাড়িতে প্রয়াত হন অভিনেতা ইরফান খানের মা সাইদা বেগম। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। জয়পুরের বেনিওয়াল কান্ত কৃষ্ণ কলোনিতে পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে থাকতেন। ইরফান খানের মা হিসেবে পরিচিত হলেও সাইদা ছিলেন নবাবকন্যা। স্বাধীনতার পূর্বে রাজস্থানের একমাত্র মুসলিম রাজ্যের নবাবী পরিবারের সদস্যা ছিলেন তিনি। কবিতা পড়তে ভালবাসতেন। কবিতা লিখতেনও তিনি। বয়সজনিত কারণেই দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন সাইদা। সেই কারণেই মৃত্যু হয় তাঁর। সাইদার তিন ছেলে। ইরফান, সলমন ও ইমরান। মায়ের প্রয়াণের পর মেজ ছেলে সলমন জানিয়েছেন, “আমার মা কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তবে হঠাৎ শনিবার সকালে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। সম্প্রতি মা ইরফান ভাইয়ের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছিলেন। সেই নিয়ে একটু চিন্তান্বিতও ছিলেন তিনি।”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ১ হাজার পিপিই কিট দিলেন বিদ্যা ]

জয়পুরের উপকণ্ঠে চুঙ্গি নাকা কবরস্থানে তাঁকে কবরস্থ করা হয়। তাঁর শেষকৃত্যে হাতে গোনা কয়েকজনই উপস্থিত থাকতে পেরেছিলেন। লকডাউনের কারণে অনেকেই জয়পুর পৌঁছতে পারেননি। এমনকী বড় ছেলে ইরফানও পৌঁছতে পারেননি গোরস্থানে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেষকৃত্যে অংশ নেন তিনি। মাকে শেষ দেখা তিনি দেখেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই। মায়ের প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন ইরফান। বিশেষত শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে না পারায় আরও ভেঙে পড়েছেন তিনি।

কিছুদিন আগে মুম্বইয়ের বাড়িতেই মিঠুনের বাবা বসন্তকুমার চক্রবর্তীর মৃত্যু হয়। মিঠুন আটকে ছিলেন বেঙ্গালুরুতে। লকডাউনের কারণে মুম্বই পৌঁছতে পারেননি তিনি। বসন্তকুমার চত্রবর্তীর চার সন্তানের মধ্যে মিঠুনই সবথেকে বড়। তাই বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই শেষকৃত্যের জন্যে মুম্বই পৌঁছনোর আকুল চেষ্টা করছিলেন। এপ্রসঙ্গে মিঠুনের বড় ছেলে মিমো, যিনি এই মুহূর্তে মুম্বইতে তাঁর পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন, তিনি জানান, শুটিংয়ের কাজে বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু লকডাউনে ফিরতে পারেননি।

[ আরও পড়ুন: লকডাউনের জের, সিনেমা হলের পরিবর্তে ডিজিটালি মুক্তি পেতে পারে ‘লক্ষ্মী বম্ব’ ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement