সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ে গুনগুনের মনের মধ্যে ঠিক কীরকম ঝড় উঠেছিল, তা টেরও পাননি তাঁর বাবা গণেশ উপাধ্যায়। যদি একটি বার তা জানতে পারতেন, তাহলে হয়তো এই বিপদ আটকে দিতে পারতেন। কিন্তু সবই ভবিতব্য! হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে বার বার এমনটাই ভেবে যাচ্ছেন গুনগুনের বাবা। আত্মীয়স্বজনকে বলে যাচ্ছিলেন, ”আমি বুঝতেই পারিনি মেয়েটা এরকম করে ফেলবে!”
ঘটনাটি ঘটেছে যোধপুরে। পেশায় মডেল (Jodhpur model jumps) গুনগুন উপাধ্যায় হঠাৎই ঝাঁপ দিলেন একটি হোটেলের ৬ তলা বিল্ডিং থেকে। গুনগুনের বাবা পুলিশকে জানিয়েছে, ঝাঁপ দেওয়ার আগে বার বার তাঁকে ফোন করেছিলেন গুনগুন। ফোনে গুনগুন বলেই যাচ্ছিলেন, ”বাবা আমি নিজেকে শেষ করে দিচ্ছি। আর বাঁচব না। আমার মৃত্যুর পর আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকো তুমি।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে উদয়পুর থেকে যোধপুরের একটি হোটেলে যান গুনগুন। ওই হোটেলের ৬ তলা থেকেই ঝাঁপ দেন গুনগুন। মেয়ের কাছ থেকে ফোন পেয়ে গোটা ঘটনার কথা পুলিশকে জানান গুনগুনের বাবা। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই অঘটন ঘটিয়ে ফেলেছিলেন গুনগুন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
হাসপাতাল থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, গুনগুনের বুকে চোট রয়েছে। পায়ের হাড় ভেঙেছে। চিকিৎকরা জানিয়েছেন, তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ার ফলে টানা রক্ত দিতে হচ্ছে। তবে গুনগুন হঠাৎ এমন কেন করলেন তা জানা যায়নি। কেনই বা হোটেলের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন এই মডেল। তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে গুনগুনের বাড়ির লোকজন ও বন্ধুবান্ধবকে। তবে ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গুনগুন, জ্ঞান ফিরলেই তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.