সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে করোনা আতঙ্ক। COVID-19 মোকাবিলায় জারি রয়েছে লকডাউন। এর মাঝেই পিতৃহারা হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মঙ্গলবার সন্ধেবেলাই মিঠুনের বাবা বসন্তকুমার চক্রবর্তী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। অভিনেতার মুম্বইয়ের বাড়িতে শোকের ছায়া। তবে বাবার শেষশয্যায় পাশে থাকতে পারলেন না অভিনেতা। কারণ লকডাউনের জন্য মিঠুন বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে আটকে রয়েছেন। জানিয়েছেন অভিনেতার ছেলে মহাক্ষয় ওরফে অভিনেতা মিমো চক্রবর্তী।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, মুম্বইয়ের বাড়িতেই মিঠুনের বাবা বসন্তকুমার চক্রবর্তীর মৃত্যু হয়েছে। আর মিঠুন এই মুহূর্তে আটকে বেঙ্গালুরুতে। দীর্ঘকাল ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতার বাবা। বয়সও নব্বই পেরিয়েছে। তাঁর চার সন্তানের মধ্যে মিঠুনই সবথেকে বড়। তাই বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই শেষকৃত্যের জন্যে অন্তত মুম্বই পৌঁছনোর আকুল চেষ্টা করছেন ছেলে মিঠুন চক্রবর্তী। এপ্রসঙ্গে মিঠুনের বড় ছেলে মিমো, যিনি এই মুহূর্তে মুম্বইতে তাঁর পরিবারের সঙ্গেই রয়েছেন, তিনি জানিয়েছেন, শুটিংয়ের কাজে বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু লকডাউনে ফিরতে পারেননি। তবে এখন শেষকৃত্যের জন্য মুম্বইতে আসার চেষ্টা করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মিঠুন ওরফে গৌরাঙ্গ চক্রবর্তীর বাবা বসন্তকুমার চক্রবর্তী একসময়ে ক্যালকাটা টেলিফোনসে চাকরি করতেন। মা শান্তিময়ী ছিলেন গৃহবধূ। ৪ সন্তানের মধ্যে মিঠুনই বড়। রয়েছেন অভিনেতার তিন বোন। শোনা যায়, বেশ রাশভারী লোক ছিলেন বসন্তকুমার। কড়া নিয়মানুবর্তিতার মধ্যেই রাখতেন ছেলেমেয়েদের। তাই সাতের দশকে যখন নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে মিঠুনের যোগ পেয়েছিলেন, ছেলেকে তড়িঘড়ি মুম্বইতে পাঠিয়ে দেন। মিঠুনও তারপর নকশাল আন্দোলন ছেড়ে মু্ম্বইতে অভিনয় কেরিয়ারে মন দেন। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন অফ ইন্ডিয়া থেকে অভিনয় নিয়ে স্নাতক হন মিঠুন। যদিও ছেলের এই কেরিয়ার বাবা বসন্তকুমারের খুব একটা পছন্দ ছিল না, তবে সময়ে-অসময়ে সর্বদা ছেলের পাশে থেকেছেন বসন্তকুমার। তবে মৃত্যুর আগে একবার ছেলের মুখটা পর্যন্ত দেখতে পারলেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.