সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৩ বছরের শিউলি দাস। বাড়ি দুর্গাপুরে। টিউশন পড়তে গিয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তারপর থেকেই নিখোঁজ। পরিবারের আশঙ্কা পাচারের উদ্দেশ্যেই হয়তো অপহরণ করা হয়েছে ছাত্রীকে। শিউলির পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্যের আরজি জানিয়েছিলেন মীর আফসার আলি (Mir Afsar Ali)। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ছাত্রীর হদিশ পাওয়া যায়।
নিজের পোস্টে মীর জানিয়েছিলেন, গতকাল অর্থাৎ শনিবার টিউশন পড়তে গিয়েছিল শিউলি। তারপর থেকেই আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে শিউলির পরিবার। গত কয়েকদিন ধরে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির ফোন আসছিল শিউলির ফোনে। পাচারের উদ্দেশ্যেই হয়তো তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এই আশঙ্কা নিয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে শিউলির পরিবার।
ফেসবুক পোস্টে শিউলির মা দুর্গা দাসের ফোন নম্বর দিয়েছিলেন মীর। সেই নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের মেয়ে শিউলি। তার ব্যবহারে কোনও অস্বাভাবিকত্ব ছিল না। শুধু গত কয়েকদিন ধরেই অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে উত্যক্ত করা হচ্ছিল কিশোরীকে। মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন দুর্গা দাস। পেটের সমস্যার জন্য অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। এখনও মেয়ের কোনও খবর পাননি বলেই জানান দুর্গাদেবী। এখনও শয্যাশায়ী তিনি।
শিউলির এক আত্মীয়র মাধ্যমে তার নিখোঁজ হওয়ার খবরটি জানতে পারেন মীর। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করার পরই তিনি ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে বিষয়টি জানান। পোস্টে দুর্গাদেবীর ফোন নম্বরও শেয়ার করেন মীর। এদিকে দুর্গাপুর পুলিশও শিউলির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত হলদিয়ার কাথে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন পুলিশ অফিসাররা। মেয়েটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে জানতে পেরে নিজের অফিশিয়াল পেজ থেকে পোস্টটি ডিলিট করে দেন মীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.