সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এদিন বিধানসভায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসেই মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) জানিয়েছিলেন, সাংসদ পদ ছাড়তে চান, এমনকী আগামী লোকসভা নির্বাচনে আর প্রার্থীও হতে চান না। আর সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুক্রবার বিকেলে সোশাল মিডিয়ায় সাংসদ খাতের হিসেব দিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ।
বৃহস্পতিবার বিধানসভা থেকে বেরিয়েই নিন্দুকদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন, “সাংসদ ফান্ডের কত টাকা কোথায় ব্যবহার হয়েছে, কোথায় কাজ হয়েছে, সেই তথ্য নির্দিষ্ট পোর্টালেই পেয়ে যাবেন। এক নম্বরে কার নাম রয়েছে, সেটা যাচাই করে নিন। আর সেটাই আমার গর্বের কারণ।” যেমন কথা তেমন কাজ! নিজের সংসদীয় খাতের টাকা কোথায় কতটা খরচ করেছেন, কীভাবে কাজে লাগিয়েছেন, সেই সমস্ত হিসেব শুক্রবার সমাজ মাধ্যমের পাতায় তুলে ধরলেন মিমি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতে যাদবপুরের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এই কয়েক বছরে মোট ১৭ কোটি টাকার বেশি কাজ করেছেন সংসদীয় এলাকার জন্য। কোন এলাকায় কত টাকা খরচ হয়েছে? তার হিসেবও দিলেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে।
ফেসবুক পোস্টে তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী লিখেছেন, “আমার জীবন অধ্যায়ের অধিকাংশ সময় অভিনয় জগতে থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন করেছি। কিন্তু বিগত ৫ বছর, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের একজন সাংসদ রূপে যতটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্য করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎপথে থেকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গেছি… সেই সফরের কথা মনে করলে মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়। তাই আনন্দের সাথে বিগত ৫ বছরের আমার সাংসদ রূপে যাবতীয় কাজের খতিয়ান আজ জনসমক্ষে তুলে ধরলাম।”
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মিমি। সংশ্লিষ্ট পোস্টেই তাঁর সংযোজন, “আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমার নেত্রী, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তাঁর স্নেহের হাত আমার মাথায় সর্বক্ষণ রাখার জন্য। আগামী দিনে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, আমার কাজের মাধ্যমে আমি নিশ্চিতরূপে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় থাকব।” আর পোস্টের ঠিক শেষেই বোমা ফাটালেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ। “কোভিডের কারণে সেই সময় ফান্ড আসা বন্ধ ছিল”- একথা উল্লেখ করেই লিখলেন, “কুছ তোহ লোগ কাহেনগে, লোগো কা কাম হে কহেনা!”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.