সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৭৪টা বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কালের নিয়মে যুগ বদলেছে। প্রত্যেকটা বছর মানুষ হিসেবে নিজেদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছি আমরা। কিন্তু তবুও কি পেরেছি মনের দিক থেকে স্বাধীন হতে, কিংবা মুক্তির আস্বাদ নিতে? হয়তো না! তাই বোধহয় এই মারণ ভাইরাসের থাবার পরও আমাদের সমাজের একাংশের হিংস্র দাঁত-নখগুলো বেরিয়ে আসে সেসমস্ত কোভিড যোদ্ধাদের জন্য যাঁরা প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে জনগণের সুরক্ষায় উদয়াস্ত কর্তব্যরত। পুলিশকে পেটানো হচ্ছে। চিকিৎসকদের উপর আক্রমণ হানা হচ্ছে। মানবজাতির বর্বরতার শিকার হচ্ছে পশুরা। অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর নৈতিকতাবোধও পর্দার আড়ালে মুখ ঢেকেছে। যথেষ্ট অ্যালার্মিং! এবার বোধহয় সত্ত্বর প্রয়োজন মানবিকতায় শাণ দেওয়ার। আর সেই ভাবনা থেকেই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক ভিডিও তৈরি করে ফেললেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। আরেক সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) পাঠ দিলেন মনের আগল খুলে নিজের শর্তে বাঁচার।
১৫ আগস্ট নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ‘বন্দে মাতরম’ শীর্ষক সেই ভিডিও পোস্ট করে সাংসদ মিমি প্রশ্ন তুললেন, আমরা সত্যিই স্বাধীন তো? স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, ব্যাংককর্মী, সাফাইকর্মী, সাংবাদিক-সহ যেসব মানুষ প্রতিদিন জনসাধারণের প্রতি অক্লেশ কর্তব্য পালন করে চলেছেন, বারবার তাদের কেন আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে? একটানা পরিশ্রমের পর বাড়ির ঢুকতে গিয়েও পড়শিদের আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। পথ কুকুরদের ভালোবেসে খাবার খাওয়ালে কিংবা একটু স্নেহের স্পর্শ দিলে শুনতে হয় ‘আদিখ্যেতা’! আসলে সেভাবে তো ভাবতেই শিখিনি আমরা!
এ কোন সমাজ? যেখানে সমলিঙ্গপ্রেমকে নিজের শর্তে বাঁচার জন্য লাঞ্ছনা-কটাক্ষের শিকার হতে হয়! সত্যিই কি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সেই মর্যাদাটুকু দিতে পেরেছে আমাদের সমাজ? যেখানে কাজের মধ্যেও লিঙ্গবৈষম্যকে তুলে ধরা হয়। মেয়ে মানেই ঘরকন্না। মেয়েরা আবার রিকশা চালাতেও পারে নাকি? স্বাধীনতার এতগুলো বছর পর আজও সমাজের এই জড়তাগুলো প্রশ্ন তোলে। সাংসদ মিমি চক্রবর্তী তাঁর ভিডিওয় আবারও এই প্রশ্নগুলোকেই চাগিয়ে তুললেন। ব্যস্তজীবন উত্তর খুঁজবে কি? উত্তর দেবে ভবিষ্যতের সমাজ!
নুসরত জাহান দিলেন মন খুলে নিজের শর্তে বাঁচার পাঠ। প্রত্যেকের মধ্যেই কিছু না কিছু গুণ থাকে, কেউ রাঁধতে ভালবাসেন, কেউ আঁকতে, আবার কেউ বা নাচতে.. কিন্তু মুক্ত বিহঙ্গের মতো কজন পারে সেই ডানা মেলে উড়তে? পুরুষদের ক্ষেত্রে তা অনেকটা সহজগম্য হলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে কিন্তু স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরও কিছু বাধ্যবাধকতা রয়ে গিয়েছে। আলমারিতে সযত্নে তুলে রাখা সেই স্বপ্নগুলোকেই আবার মেলে ধরার কথা বললেন সাংসদ নুসরত।
অন্যদিকে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার আহ্বান জানিয়ে বললেন, “এই স্বাধীনতা দিবসে সবাই মিলে শপথ নি যে এই কঠিন সময়ে যেন একে অন্যের পাশে থাকতে পারি এবং নতুন প্রজন্মের কাছে এক নতুন ভাবে জাগ্রত ভারতকে তুলে ধরতে পারি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.