সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনায় রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে সুপার সাইক্লোন আমফান। ঝড়ের পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি কলকাতা। বহু জায়গায় গাছ পড়ে রয়েছে। বিদ্যুৎ আসেনি অনের জায়গায়। এই পরিস্থিতি থেকে শহরকে ছন্দে ফেরাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন পুলিশ, সেনা, বিদ্যুৎকর্মী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সদস্যরা। তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেকথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী তথা যাদবপুরের সাংসদ।
গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাণ্ডব দেখাতে শুরু করে সুপার সাইক্লোন আমফান। পরিস্থিতি যে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে, তার আশঙ্কা ছিল আগেই। তাই উপকূল অঞ্চলে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। প্রয়োজন মতো সব ব্যবস্থাই করেছিল প্রশাসন। গোটা পরিস্থিতিতে নজর রাখতে কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত ছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আমফান যে আশঙ্কাকেও ছাপিয়ে যাবে, তা বুঝতে পারেনি বঙ্গবাসী। জায়গায় জায়গায় উপড়ে যায় গাছ। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। নেই পর্যন্ত পানীয় জল। কলকাতাকে দেখে চেনার উপায় নেই এই সেই কল্লোলিনী তিলোত্তমা। দুই ২৪ পরগনার অবস্থা তো আরও খারাপ। ঝড়ে উড়ে গিয়েছে একাধিক মানুষের বাড়ির ছাদ। নদী ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে বাড়ি। ঠাঁই নেই বহু মানুষের। এমনকী এখনও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক নয়।
মিমি তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন, গড়িয়া, পাটুলি, গল্ফগ্রিন ও যাদবপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় পরিস্থিতি সচল করবার কাজ চলছে। তীব্র গরমের মধ্যেও পুলিশ, সেনা, বিদ্যুৎকর্মী-সহ অনেকেই নিরলসভাবে ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করছেন। কিন্তু অনেকে তাঁদের সহযোগিতা করার বদলে অযথা খারাপ ব্যবহার করছেন। এমনটা না করার অনুরোধ জানিয়েছেন মিমি। বরং তাঁদের জলের বোতল, বিস্কুট, মুড়ি, গ্লুকোজ জল ইত্যাদি দিয়ে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন। সবাইকে হাত ধরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। বলেছেন, “ওই মানুষগুলোকেও সাহায্য করুন যারা বিদ্যুৎ ঠিক করতে এবং গাছ কাটতে আসছেন। আপনার একটু সহযোগিতা পেলে ওরাও কাজটা তাড়াতাড়ি করবে। ওদের সাথে কোনওরকম ঝামেলা করবেন না। আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.