সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণভাবে জীবনযাপন করতে চেয়েছিলেন মেগান মর্কেল। রাজপরিবারের ছত্রছায়ায় থেকে তা কখনই সম্ভব নয়। তাই বাকিংহাম প্যালেস থেকে প্রিন্স হ্যারির হাত ধরে বেরিয়ে এসেছিলেন মেগান। কানাডায় শুরু হয় তাঁদের নতুন সংসার। সাধারণের সঙ্গে মেশার তাগিদেই ছেড়েছেন রাজকীয় উপাধি। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে কাজে যোগ দিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের বধূ। ফিরলেন স্টুডিওপাড়ায়।
সম্প্রতি খবরে এসেছে, ওয়াল্ট ডিজনির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মেগান মর্কেল। ডিজনির একটি ছবিতে তাঁর গলা শোনা যাবে। ছবির নাম ‘এলিফ্যান্ট’। একটি হাতির পরিবারের উপর তৈরি হয়েছে ছবি। কার্যত এটি একটি ডক্যুমেন্টারি বা তথ্যচিত্র। আফ্রিকার কালাহারি মরুভূমিতে কীভাবে হাতিরা জীবনধারণ করে, সেই গল্পই উঠে আসবে ‘এলিফ্যান্ট’-এ। মেগান এর ন্যারেশন দেবেন। ছবিটি মুক্তি পাবে ৩ এপ্রিল। ৩১ মার্চ রাজকীয় উপাধি ত্যাগ করবেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মর্কেল। তার কয়েকদিন পরই মুক্তি পাবে তথ্যচিত্রটি। ডিজনি প্লাসে দেখা যাবে এই তথ্যচিত্র। এর পাশাপাশি ডিজনিতে আরও একটি তথ্যচিত্র আসছে যা সামুদ্রিক ডলফিনের উপর তৈরি। সেটিতে ন্যারেশন দেবেন নাতালি পোর্টম্যান।
Disneynature’s Elephant, an Original Movie narrated by Meghan, The Duchess of Sussex, starts streaming April 3, only on #DisneyPlus. pic.twitter.com/RtgymUMSV1
— Walt Disney Studios (@DisneyStudios) March 26, 2020
Two new movies, two unforgettable journeys. Start streaming Disneynature’s Elephant, narrated by Meghan, The Duchess of Sussex, and Disneynature’s Dolphin Reef, narrated by Natalie Portman, on April 3, only on #DisneyPlus. pic.twitter.com/rSPe8zwpuW
— Walt Disney Studios (@DisneyStudios) March 26, 2020
কানাডার সবচেয়ে অভিজাত এলাকা এবং ব্রিটিশদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা ভিক্টোরিয়াতে আপাতত বাড়ি নিয়েছেন হ্যারি ও মেগান। এখান থেকে লন্ডনও খুব বেশি দূরে নয়। ভিক্টোরিয়ায় হ্যারিদের বাড়ি নেওয়া খুব স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ব্রিটিশ উপনিবেশ থাকাকালীন কানাডার এই ব্রিটিশ কলম্বিয়া তৈরি হয়েছিল মূলত তাদের জন্যই। এখনও ব্রিটিশরা কানাডায় এলে এখানে থাকতেই পছন্দ করে। এখানকার ভিক্টোরিয়া, ভ্যাঙ্কুভারে প্রচুর ব্রিটিশ স্থায়ী বসতি গড়েছেন। ভিক্টোরিয়ার অভিজাত ফেয়ারমন্ট ইমপ্রেস হোটেলে এখনও ওড়ে ব্রিটেনের পতাকা। ভিক্টোরিয়ার সাধারণ বাসিন্দাদের কথায়, হ্যারি-মেগান সেখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাল করেছেন। ব্রিটেনে যে ব্যক্তিগত পরিসর তাঁরা পেতেন না, তা মিলবে এখানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.