সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে অতিমারী (Corona Pandemic)। গ্রাহকদের আনাগোনাও বন্ধ। করুণ অবস্থা কলকাতার যৌনপল্লিগুলির। দিনে দু’বেলা খাবার তো জুটে যাচ্ছে, কিন্তু সংসার কী করে চলবে? সন্তানদের পড়াশোনা কীভাবে হবে? গ্রামে কীভাবে টাকা পাঠাবেন? অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায় যৌনকর্মীরা। তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী মানালি দে (Manali Manisha Dey), পরিচালক পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায় (Abhimanyu Mukherjee) এবং তাঁদের সঙ্গীরা।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে সোমবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে মানালি লিখেছেন, “আমরা ভেবেছিলাম যাঁরা যৌনকর্মী, তাঁদের কোনওভাবে এই কোভিড আর কার্যত লকডাউনে সাহায্য করা যায় কিনা। আজকে একজনের সঙ্গে কথা বলেছি যে দুর্বারের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী ওনাদের ওখানে খাবারের তেমনভাবে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না কিন্তু হাতে টাকার অভাব। বাচ্চাদের জন্য বা যাঁরা গ্রামের তাঁরা কোনও টাকা পাঠাতে পারছেন না। ওনাদের কিছু টাকার প্রয়োজন। যে যোগাযোগের দায়িত্বে রয়েছে সে কাল সবথেকে খারাপ অবস্থায় যাঁরা রয়েছেন তাঁদের নাম শর্টলিস্ট করে পাঠাবে। তারপর আমরা কত টাকা লাগবে সেটা ক্রাউড ফান্ডিং করে একদিন গিয়ে সবার হাতে দিয়ে আসব।” এই উদ্যোগে সকলকে স্বাগত জানান মানালি
কোভিডের (COVID-19) এই কঠিন সময়ে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী দেবজ্যোতি মিশ্র (Debojyoti Mishra) এবং চিত্রশিল্পী মেহতাব মিলে তৈরি করেছেন ‘পথবন্ধু’। কী এই ‘পথবন্ধু’? প্রশ্নের উত্তরে দেবজ্যোতি মিশ্র জানান, অতিমারীর এই সময়েও কিছু মানুষের ঠিকানা রাস্তা। যাঁরা ভিক্ষা বৃত্তি করেন তাঁরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার কিংবা পোশাক চেয়ে নিতে পারেন। কিন্তু এমন কিছু মানুষও রাস্তায় থাকেন যাঁরা মানসিক ভারসাম্যহীন। কেউ খিদে পেটেই পড়ে থাকেন রাস্তার ধারে, আবার কেউ উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়ান। দেবজ্যোতি মিশ্র এবং মেহতাব একটি বড় গাড়িতে খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন গ্রাম, শহর থেকে মফস্বলে। সমস্ত জায়গায় ঘুরে ঘুরে খুঁজছেন এমন মানুষদের। সামনে পেলে খাবার দিচ্ছেন। প্রয়োজনে পোশাকও দিচ্ছেন যৌথ উদ্যোগে। ‘পথবন্ধু’র এই উদ্যোগের সঙ্গে কেউ যুক্ত হতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন দেবজ্যোতি মিশ্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.