সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমফানের ফলে রাজ্যের অনেক সিনেমা হলের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে সিঙ্গল স্ক্রিনগুলো তো রীতিমতো ধুঁকছে। অনেকদিন থেকেই রাজ্যের সিঙ্গল স্ক্রিনগুলোর ব্যবসা মন্দা। তার উপর আমফানের প্রভাবে তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত সিনেমা হলগুলিকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টলিউডের শিল্পীদের সঙ্গে বৈঠক চলার সময়ই এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবারের বৈঠকে ইমপার পিয়া দাস মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন লকডাউনের মধ্যে সিনেমা হলগুলি বড়সড় সমস্যার মুখে পড়েছে। আয় হয়নি একটুও। অথচ নিয়ম মেনে ইলেকট্রিক বিল এসেছে। তাই ইলেকট্রিক বিলে রাজ্যে যাতে ভরতুকি দেয়, সেই আবেদন করেন পিয়া দাস। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেননি। তার পরিবরর্তে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হলগুলোকে সারানোর বন্দোবস্ত করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি সোমবার আরও অনেকেই সিঙ্গল স্ক্রিনগুলিকে বাঁচানোর কথা বলেন। অরিন্দম শীল জানান, রাজ্যে মাত্র ২০০ থেকে ২৫০টি সিঙ্গল স্ক্রিন রয়েছে। সেগুলোকে বাঁচাতে হবে। অভিনেতা সোহম রাজ্যের সমস্ত মাল্টিপ্লেক্সে বাংলা ছবি চালানোর প্রসঙ্গও তোলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের তরফে ইতিমধ্যেই এমন একটি নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ধারাবাহিকের মাধ্যমে সচেতনতা প্রচার করার প্রস্তাবও এদিন বৈঠকে দেন মমতা। জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্য়ে দিয়ে যাচ্ছে রাজ্য। এই সময় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পারে ধারাবাহিকগুলি। তাই ধারাবাহিকের গল্প ও বিষয়বস্তুর মধ্যে করোনার কথা উল্লেখ করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের বৈঠকে আনলক পরিস্থিতিতে শুটিংয়েরও কথাও ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন নিরিবিলি জায়গায় শুটিং করতে কোনও অসুবিধা নেই। একদিন একসঙ্গে ৩৫ জন শুটিং সেটে উপস্থিত থাকতে পারতেন। আজ থেকে তা বাড়িয়ে ৪০ জন করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কিল ডেভলপমেন্টের জন্য টেকনিশিয়ানদের ইনস্টিটিউট তৈরির কথাও বলেন তিনি। এদিন বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, অন্য রাজ্য থেকে বাংলায় এসে শুটিং শুরু করার জন্য আহ্বান জানাতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন হলে প্রোমোশনাল ভিডিও বা অন্য কোনও উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.