Advertisement
Advertisement

Breaking News

মোদি

‘সেলুলয়েডের মোদি জনমানসে প্রভাব ফেলবেই’, কমিশনকে জবাব নির্মাতাদের

নির্বাচন কমিশনের কাছে ছবি মুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানায় কংগ্রেস৷

Makers defends biopic on Modi at Election Commission
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 29, 2019 3:51 pm
  • Updated:March 29, 2019 10:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের হাওয়ায় সরগরম গোটা দেশ৷ এরই মাঝে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’র মুক্তি নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই৷ ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে মুক্তির দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস৷ তবে নির্বাচন কমিশনের তলবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ছবির নির্মাতারা৷ তাঁদের সাফ জবাব, ‘‘ছবি মুক্তি পিছিয়ে দিন আর বন্ধই করুন, দু’টি ক্ষেত্রেই সেলুলয়েডের নরেন্দ্র মোদি সকলের মনে প্রভাব ফেলবেই৷’’

[ আরও পড়ুন: ‘মোদি ভাল’, কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বিস্ফোরক অভিনেত্রী উর্মিলা]

ছবির নামেই স্পষ্ট কী হতে পারে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’র মূল বিষয়বস্তু৷ ট্রেলার মুক্তির পর মিলে গিয়েছে সেই উত্তরও৷ মোদির জীবনের নানা ওঠাপড়া, সংঘের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যাত্রাপথ সবই উঠে এসেছে ট্রেলারে৷ তবে বায়োপিক নিয়ে আপত্তির কিছুই ছিল না৷ কিন্তু ছবির মুক্তির দিনক্ষণ নিয়েই তৈরি হয়েছে যত গন্ডগোল৷ সব কিছু ঠিক থাকলে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেরদিন অর্থাৎ ৫ মে মুক্তি পাবে সেলুলয়েডের প্রধানমন্ত্রী৷ নির্বাচনের আগে এই ছবি ভোটারদের প্রভাবিত করবে বলেই আশঙ্কা বিরোধীদের৷ তাই ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস৷ বিরোধিতার জল গড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত৷ কংগ্রেসের দাবি, সন্দীপ সিং, মনীশ আচার্য, আনন্দ কে পণ্ডিত এবং সুরেশ ওবেরয় প্রযোজিত এই ছবি বিজেপির প্রচারের হাতিয়ার ছাড়া আর কিছুই নয়৷ হাত শিবিরের দাবি, ছবিটির তিনজন প্রযোজক বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। অভিনেতাও তাই। ছবির পরিচালকেরও ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’-এর সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে৷ তাই তাঁরা শুধুমাত্র প্রচারের উদ্দেশ্যেই এই ছবি তৈরি করেছেন৷  

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘অন্তর্বাস ছাড়া ফটোশুটে বাধ্য করেছিলেন পহেলাজ’, বিস্ফোরক কঙ্গনা]

কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে নির্বাচন কমিশন৷ সদর দপ্তরে তলবও করা হয় সেলুলয়েডের মোদি বিবেক ওবেরয় এবং প্রযোজকদের৷ বুধবার নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে যান তাঁরা৷ কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করে দেয় টিম ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’৷ প্রযোজকদের দাবি, গেরুয়া শিবিরের কারও কোনও সাহায্য ছাড়া সম্পূর্ণ নিজেদের টাকাতেই ছবি তৈরি হয়েছে৷ এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁদের একটাই বক্তব্য, ছবি মুক্তি বন্ধ করে দেওয়া হলে বা পিছিয়ে দেওয়া হলেও সেলুলয়েডের মোদি গণতন্ত্রকে প্রভাবিত করবেই৷ বিতর্কের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ছে সেলুলয়েডের মোদিকে নিয়ে আগ্রহ৷ ছবি আদতে নির্ধারিত সময়ে মু্ক্তি পায় কি না এবং তা কতটা দর্শক মনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে, সেটাই এখন দেখার৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement