Advertisement
Advertisement
মহানায়ক

মহানায়ক সম্মান পেলেন যিশু ও পরমব্রত, সেরা ছবি ‘এক যে ছিল রাজা’

দেবশ্রী রায়, ইন্দ্রাণী হালদার ও শতাব্দী রায়ও পেয়েছেন মহানায়ক সম্মান।

Mahanayak Uttam Kumar Samman is given by Chief Minister to artists
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:July 24, 2019 8:30 pm
  • Updated:July 25, 2019 1:39 pm  

দীপঙ্কর মণ্ডল: উত্তম কুমারের মৃত্যুদিবসে নজরুম মঞ্চে বসেছিল চাঁদের হাট। শিল্পীদের হাতে এদিন মহানায়ক সম্মান তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেরা ছবি হিসেবে পুরস্কার জিতেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘এক যে ছিল রাজা’। এছাড়া মহানায়ক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন দেবশ্রী রায়, ইন্দ্রাণী হালদার, যিশু সেনগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও শতাব্দী রায়।

[ আরও পড়ুন: পিছোল ‘পরিণীতা’ মুক্তির দিন, প্রকাশ্যে শুভশ্রীর নতুন লুক ]

Advertisement

এদিন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টলিপাড়ার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। ছিলেন রঞ্জিত মল্লিক, চিরঞ্জিত, অলকানন্দা রায় ও গৌতম ঘোষের মতো শিল্পী। মহানায়ক উত্তম কুমারকে সম্মান জানিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপর পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় এবছরের বিজেতাদের হাতে। সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন যশোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (অ্যাডভেঞ্চার্স অফ জোজো)। সেরা চিত্রগ্রাহক হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন শুভঙ্কর ভড় (ব্যোমকেশ গোত্র)। সেরা পরিচালকের পাশাপাশি সেরা চিত্রনাট্যকার হিসেবেও সম্মানিত হয়েছেন সৃজিত। সেরা প্রযোজক হিসেবে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস (দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন, এক যে ছিল রাজা, ব্যোমকেশ গোত্র) ও অ্যাক্রোপলিশ এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড (নগরকীর্তন) পুরস্কার পেয়েছে। সেরা অভিনেতা ও অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী (নগরকীর্তন) ও তনুজা (সোনার পাহাড়)। এবছর ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় (দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন) পেয়েছেন উদীয়মান পরিচালকের পুস্কার। সংগীত পরিচালকের পুরস্কার উঠেছে প্রসেনের (শাহজাহান রিজেন্সি) হাতে। সেরা মেকআপ আর্টিস্ট ও কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন ‘নগরকীর্তন’ ছবির রামচন্দ্র রজ্জাক ও গোবিন্দ মণ্ডল।

চিত্রজগতে রাজনৈতিক ফাটল আরও স্পষ্ট হল। বুধবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘উত্তম কুমার স্মরণে’ অনুষ্ঠান করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির ছিলেন। প্রতিবছরের মতো এবারও পাঁচজন শিল্পীকে মহানায়ক সম্মানে ভূষিত করা হয়। এদের মধ্যে যিশু সেনগুপ্ত এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এর নাম থাকা সত্ত্বেও এদের নজরুল মঞ্চে দেখা যায়নি। দেখা যায়নি প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণাকেও। একুশে জুলাই মঞ্চে তৃণমূলের সভায় আগে থাকতেন অথচ এবার ছিলেন না এমন শিল্পের সংখ্যা কম নয়। একুশে জুলাই ছিল তৃণমূলের সভা। আর এ দিন ছিল সরকারি অনুষ্ঠান। তা সত্ত্বেও শিল্পীদের একটি বড় অংশের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সংগীতশিল্পীদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনার কথা বলেন। তবে অবশ্যই অর্থদপ্তরের অবস্থা বুঝে।

[ আরও পড়ুন: কারগিল বিজয় দিবস উপলক্ষে ফের প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement