সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরিত্র এক, অভিনেত্রী দুই। বিতর্কিত আধ্যাত্মিক গুরু রজনীশ ওরফে ‘ওশো’র ব্যক্তিগত সচিব মা আনন্দ শীলার চরিত্রে কাকে দেখা যাবে? এ নিয়ে জল্পনা বহুদিন ধরেই ছিল। শেষমেশ ব্যারি লেভিনসনের সিরিজে ‘শীলা’ হিসেবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নাম জানা যায়। অন্যদিকে শকুন বাতরার প্রজেক্টে শীলা হিসেবে আলিয়া ভাটের নাম শোনা যায়। প্রিয়াঙ্কাকে নিজের চরিত্রে একেবারেই দেখতে চান না মা আনন্দ শীলা। তার বদলে আলিয়াকেই বেশি পছন্দ তাঁর। এমনটাই জানিয়ে দিলেন। পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কাকে আইনি নোটিস পাঠানোর কথাও জানালেন আধ্যাত্মিক গুরুর সঙ্গিনী।
নেটফ্লিক্সের ডকুমেন্টরি ‘ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড কান্ট্রি’র সুবাদে মা আনন্দ শীলার নাম নতুন করে প্রচারের আলোয় আসে। কে ছিলেন এই আনন্দ শীলা? জানতে আটের দশকের ইতিহাসে ফিরে যেতে হয়। আধ্যাত্মিক গুরু রজনীশ ওরফে ওশোতে মেতে তখন অনেকেই। হলিউড তারকা থেকে বলিউড তারকা বিনোদ খান্না, অনেকেই ওশোর বাণীতে মুগ্ধ হয়েছিলেন। আর বিনোদ খান্নার তখন এমনই অবস্থা যে কেরিয়ারের মধ্য গগনে তিনি যখন খ্যাতির চূড়ায়, সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে দিয়ে চলে গেলেন ওশোর আশ্রমে। সেই আধ্যাত্মিক গুরু ওশোই জড়িয়ে পড়েছিলেন একাধিক বিতর্কে। যে বিতর্কে তাঁর ভাগীদার হয়েছিলেন একজন স্মার্ট, লাস্যময়ী মহিলা- ‘শীলা’ আম্বালাল প্যাটেল। জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও আমেরিকান-সুইস নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁর। যিনি ওশোর ব্যাক্তিগত সচিব হিসেবে হিসেবে কাজ করেছিলেন।
মার্কিন মুলুকে রজনীশপুরম আশ্রমের দায়িত্বেও ছিলেন শীলা। একসময় এই শীলার নেতৃত্বেই রজনীশের অনুগামীরা মার্কিন মুলুকের সালাদ বার ও রেস্তোরাঁগুলিতে বিষ মেশানোর ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিল। যে ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৭৫০জন। ১৯৮৪ সালে ওরেগান প্রদেশে বায়োটেরর অ্যাটাকে দোষী প্রমাণিত হন শীলা। যেটা মার্কিন ইতিহাসে অন্যতম বড় আক্রমণ ছিল। যে ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হন শীলা এবং তাঁর জেল হয়। পরবর্তীকালে পাততাড়ি গুটিয়ে রজনীশ দেশে ফিরে আসলেও জেল থেকে ছাড়া পেয়েই শীলাই আবার ফাঁস করে দিয়েছিলেন রজনীশের অনেক অজানা তথ্য।
শীলার জীবনকাহিনি ভিত্তিক ওয়েব সিরিজ আসছে আমাজন প্রাইমে। সেই সিরিজ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন ব্যারি লেভিনসন। তবে এতে শীলার আপত্তি রয়েছে। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, প্রিয়াঙ্কা তাঁর পছন্দ কোনওভাবেই নন, বরং অল্প বয়সে আলিয়াকে অনেকটা তাঁর মতো দেখতে ছিল। নিজের আপত্তির কথা জানিয়ে শীলা প্রিয়াঙ্কাকে একটি মেলও পাঠিয়েছিলেন। আর সুইজারল্যান্ডের নিয়মে এই ধরনের মেলকে আইনি নোটিস হিসেবে মান্যতা দিতে হয় বলেই জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.