সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই হাসপাতাল থেকেই ছাড়া পেয়েছেন কণিকা কাপুর। আপাতত করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। এবার ১৪ দিন তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কিন্তু তারপরও লখনউ ছাড়াতে পারবেন না তিনি। পুলিশ নির্দেশ দিয়েছে এখনও নিস্তার নেই গায়িকার। কারণ তাঁর নামে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কণিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ, লন্ডন থেকে ফিরে তিনি নিয়ম মতো ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে যাননি। উলটে বিদেশযাত্রার খবর গোপন করেছিলেন তিনি। এছাড়া লন্ডন থেকে ফিরে লখনউয়ে একটি জমকালো পার্টির আয়োজন করেন। সেই পার্টিতে শ’খানেক লোক নিমন্ত্রিত ছিল। নিমন্ত্রিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে ও তাঁর সাংসদ পুত্র দুষ্মন্ত সিং। তবে খবর জানার পর তাঁরা নিজেদের সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে রাখেন। দুষ্মন্ত সিং তার মাঝে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ অনেকের সঙ্গেই সাক্ষাৎ করেন। ফলে কণিকা কপুরের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকে নিজেদের গৃহবন্দি করে হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যান সকলেই। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নিজের সমস্ত কাজ বাতিল করে দেন। বাকি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা যাঁরা সেদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন, এমনকি পরে দুষ্মন্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁরাও আতঙ্কে সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনের পথ বেছে নেন। যদিও স্বস্তির কথা কেউই করোনায় আক্রান্ত হননি।
কিন্তু কণিকার এমন কাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে লখনউ পুলিশের কাছে দায়ের হয় এফআইআর। গায়িকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ২৬৯, ২৭০ ও ১৮৮ ধারায় মামলা রুজু করে উত্তরপ্রদেশের সরোজিনী নগর থানার পুলিশ। পুলিশের কাছে কণিকা কপুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন লখনউয়ের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক। এখন সেই মামলা নিয়েই লখনউ পুলিশ কাণিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা করছে। তাঁর আইসোলেশন পিরিয়ড শেষ হলেই শুরু হবে জিজ্ঞাসাবাদ। যদিও আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, কণিকার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় প্রমাণের অভাব রয়েছে। কারণ কাণিকার সংস্পর্শে সেই সময় যাঁরা এসেছিলেন কারওই শরীরে করোনার সন্ধান মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.