বিদিশা চট্টোপাধ্যায়: মডেলিং থেকে অভিনয়, আর এখন লেখিকা হিসেবেও জনপ্রিয় লিজা রে। নয়ের দশকে পর্দা কাঁপাতেন তিনি। তাঁর রূপের জাদুতে কাবু ছিল আট থেকে আশি। বয়স এখন তাঁর পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই। জীবনে তিনি অনেক কিছুরই সাক্ষী থেকেছেন। মৃত্যুকে অনেক কাছ থেকে দেখেছেন লিজা। ব্লাড ক্যানসারের সঙ্গে অসম যুদ্ধে জয়লাভও করেছেন। এমন এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিন্তু আদতে বাংলারই ঘরের মেয়ে। হুগলির শ্রীরামপুরে ছিল তাঁর বাড়ি। এখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। ছোটবেলার সেই স্মৃতিই অভিনেত্রী সম্প্রতি শেয়ার করেছেন তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে।
লিজার বাবা ছিলেন বাঙালি। মা পোল্যান্ডের বাসিন্দা। সেই কারণে তাঁর চেহারাতেও সেই ছাপ রয়ে গিয়েছে। মায়ের কারণেই পোলিশ ভাষায় কথা বলতে পারেন লিজা। আবার বাবা বাঙালি হওয়ায় সত্যজিৎ রায় ও ফেদরিকো ফেলিনির ছবি দেখে দিন কেটেছে তাঁর। লিজার বড় হয়ে ওঠা শ্রীরামপুরেই। ছোটবেলায় আর পাঁচটা বাঙালি মেয়ের মতো শাড়ির পরার দিকে ঝোঁক ছিল তাঁর। ইনস্টাগ্রামে এমন কয়েকটি ছবি পোস্টও করেছেন লিজা। একটি ছবিতে বাবা মায়ের সঙ্গে ছোট্ট লিজাকে দেখা গিয়েছে শাড়ি পরে। ছবি দেখে কী আর বোঝার উপায় ছিল এই মেয়েই একদিন পর্দা কাঁপাবে?
লিজার এই ছবিটি দেখে রীতিমতো অবাক অভিনেত্রী সায়নী গুপ্ত। কমেন্টে তিনি লিখেছেন, “একদম পুতুল।” বাংলাতেই মন্তব্যটি করেছেন সায়নী। এরপর লিখেছেন, লিজার বাবা তো উত্তম কুমারকে মনে পড়াচ্ছেন। উত্তরে লিজা লিখেছেন, “ওরে বাবা!” ছেলেবেলার দিনগুলোকে ‘মিষ্টি মেমরি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন লিজা।
মায়ের সঙ্গে ছবিও শেয়ার করেছেন লিজা। যেখানে তাঁর মাকে বেশ সাহসী পোশাকে দেখা গিয়েছে। যদিও পোল্যান্ডে এটি কোও বড় ব্যাপার নয়। কিন্তু একথাও ভুললে চলবে না। লিজার মা কিন্তু একসময় শ্রীরামপুরেই বাড়িতেও থাকতেন। তখন শাড়ি পরে একেবারে বাঙালি বধূর সাজে থাকতেন তিনি। সেই ছবিও ঠাঁই পেয়েছে লিজার ইনস্টাগ্রামে।
রবিবার মাদার্স ডে। মায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে সবার উদ্দেশ্যে একটি বার্তাও পোস্ট করেছেন লিজা। লিখেছেন, ‘মায়েরা তাঁর ছেলেমেয়েদের জন্য নিঃশব্দে এমন কাজ করেন যা অজানা রয়ে যায়।’ এরপর তিনি অনুরাগীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, ‘মাদার্স ডে’তে সবাই যেন মায়ের সঙ্গে তাদের ভাল মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.