সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে একবার যাঁরা দেখা করতেন, তাঁরাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যেতেন। শুধু তাঁর কণ্ঠস্বরের প্রেমে নয়, তাঁর মিষ্টি ব্যবহারও মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। হাসপাতালের বেডে শুয়েও, লতাজি র মুখে লেগে থাকত এক সুন্দর হাসি! যা প্রেরণাদায়ক। অন্তত এমনটাই মত, লতা মঙ্গেশকরের চিকিৎসক প্রতীত সামদানির। চিকিৎসকের কথায়, ”গুরুতর অসুস্থ ছিলেন, তবুও মুখের হাসিটা ম্লান হয়নি তাঁর। সেই হাসি কোনও দিন ভুলতে পারব না।”
মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্য়ান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে ভরতি হওয়ার পর লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) চিকিৎসার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন প্রতীত। শুধু তাই নয়, প্রায় ৩ বছর ধরেই লতাজির চিকিৎসা তিনিই করতেন। প্রতীতের কথায়, ”এই কয়েক বছর খুব কাছ থেকেই দেখেছি তাঁকে। ওর গানের অনুরাগী তো ছিলামই। কিন্তু যেটা উল্লেখযোগ্য তা হল, এত বড়মাপের একজন মানুষ, আর ব্যবহার একেবারে মাটির মতো! আমার ৮ বছরের মেয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথাও বলতেন তিনি। দারুণ মিষ্টি ব্যবহার। অনেক গল্প করতেন, গান নিয়ে কথা হত। অনেক পুরনো পুরনো কথা শেয়ার করেছেন। লতাজির মৃত্যুতে সত্য়িই বড্ড মন খারাপ। তাঁর সব কথাই বার বার মনে পড়ছে। আর মনে পড়ছে সেই হাসিমুখ! যা শেষ দিন পর্যন্ত মুখে লেগেছিল।’ চিকিৎসক প্রতীত আরও জানান, ”হাসপাতালে শুয়েও অন্যান্য রোগীর খোঁজ নিতেন লতাজি। আমাকে বলতেন, সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা করতে। সত্যি এরকম মানুষ খুব কম জন্মাবে এই বিশ্বে! খুব বড় ক্ষতি হয়ে গেল আমাদের।”
কোভিডের (COVID-19) পাশাপাশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিংবদন্তি। গত ৮ জানুয়ারি থেকে ভরতি ছিলেন মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। করোনাকে (Coronavirus) হার মানিয়েছিলেন। নিউমোনিয়ারও লক্ষণ ছিল না বলে খবর। মাঝে ভেন্টিলেশন থেকেও বের করা হয়েছিল শিল্পীকে। কিন্তু ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কোভিড পরবর্তী জটিলতাই কাল হল। শনিবার বিকেলের পরই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত রবিবারের সকালে তাঁর প্রয়াণ সংবাদে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.