সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির মাঝেই ‘হিন্দু মুসলিম’ সংক্রান্ত পোস্ট করেছিলেন লগ্নজিতা চক্রবর্তী। তাতেই তুমুল শোরগোল। লাগাতার কটাক্ষ, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপের অভিযোগ। যার পালটা জবাবও দিয়েছিলেন গায়িকা। কিন্তু তাতেও ট্রোলের পালা শেষ হয়নি। চূড়ান্ত ‘ভার্চুয়াল’ হেনস্তার মুখে পড়ে শেষমেশ নিজের পোস্ট মুছতে বাধ্য হলেন শিল্পী।
শনিবার নিজের ফেসবুক পেজে লগ্নজিতা লেখেন, ‘ভেবেছিলাম এই হিন্দু মুসলিমের ব্যাপারটা আমরা পেরিয়ে এসেছি, অনেক দিন/বছর/কাল আগেই। কোনওদিন ভাবিনি ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে, এই বিষয়টা নিয়ে একটা পোস্ট করতে হবে। এটা অতীত হয়ে গিয়েছে, এই আমার ভাবনা ও চিন্তা ছিল।’
এমন পোস্টের জন্য যে ‘ট্রোল’ হবেন তা ভাবেননি লগ্নজিতা। কিন্তু যখন তা হয়েছে, পালটা জবাব দিতে দেরি করেননি। রবিবার গায়িকা লেখেন, ‘অনেকে বলছেন, এই যে আমার হিন্দু মুসলিম নিয়ে ভাগ করতে ইচ্ছে করে না/করছে না। এটার কারণ নাকি সিপিএমের ৩৪ বছরের শাসন, আমি নাকি কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতে কী হয় কিছুই জানি না, আমি নাকি খুবই অশিক্ষিত, আমার আরও শিক্ষিত হওয়া উচিত ছিল, ইত্যাদি এবং ইত্যাদি। সে তো বুঝলাম। কিন্তু আমি তো হিন্দু-মুসলিম যে ভাই-ভাই, এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, এনাদের থেকে শিখেছিলাম। তো রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলও কি সিপিএম ছিলেন? জাস্ট জানতে চাইছি।’
‘তাহলে আর গান গাইতে হবে না বাংলাদেশে গিয়ে’, ‘আপনি ন্যাকা সেজে থাকুন, নইলে আপনার গান তো কেউ শুনবে না যদি আসল স্ট্যান্ড নেন’, এমন মন্তব্যের কথা উল্লেখ্য করে লগ্নজিতা লেখেন, ‘শুনুন, থ্রেট শুনে শুনে আজকাল থ্রেটেরও বোর লাগে। যে কোনও জিনিস একঘেয়ে হয়ে গেলে যা হয় আরকি। আমি তো আপনার অফিস যাওয়া নিয়ে কিছু বলছি না। আমার গান গাওয়া নিয়ে আপনার এত সমস্যা কোথায়?’
গায়িকার এই পোস্ট গুলো এখন আর ফেসবুকে নেই। তার বদলে রবিবার বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ লগ্নজিতা লেখেন, ‘আমার পরিবার (ব্যক্তিগত জীবন) এবং আমার ব্যান্ডের (পেশাগত জীবন) কাতর অনুরোধে, তাঁদের যাতে আর অসম্মান না হয়, আমি আমার সমস্ত পোস্ট ডিলিট করে নিতে বাধ্য হলাম। আমি হেরে গেলাম। আনন্দ করুন।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.