Advertisement
Advertisement
Kangana Ranaut

বিমানবন্দরে কঙ্গনাকে ‘চড়’ মহিলা জওয়ানের, কৃষক আন্দোলনকে ‘খলিস্তানি’ বলার জের!

ভোটে জিতেই বিপাকে কঙ্গনা রানাউত। কী ঘটল তার পর?

Lady jawan allegedly assaults Kangana Ranaut
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:June 6, 2024 5:39 pm
  • Updated:June 6, 2024 5:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে নামতেই অনভিপ্রেত ঘটনার শিকার কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। মাণ্ডির ভাবী সাংসদকে সপাটে ‘চড়’ মারার অভিযোগ উঠল এক মহিলা জওয়ানের বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন আচমকাই ‘ক্যুইন’ আক্রমণের শিকার হলেন?

জানা গিয়েছে, একুশ সালে মাসখানেক ধরে জারি থাকা দিল্লির রাজপথে পাঞ্জাবের কৃষক আন্দোলনের বিরোধিতা করে পর পর আক্রমণাত্মক টুইট করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। যার জেরে আইনি বিপাকেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এবার চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে তারই মাশুল গুণতে হল ‘ক্যুইন’কে। জানা গিয়েছে, কঙ্গনাকে চড় মারা ওই মহিলা জওয়ান আদতে পাঞ্জাবের কাপুরথালার বাসিন্দা।

Advertisement

Kangana Ranaut Reveals Assets Worth Rs 91 Cr

Advertisement

কৃষক আন্দোলন নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। আন্দোলনরত কৃষকদের ‘খলিস্তানি’, ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলেও তোপ দেগেছিলেন। এমনকী, বিতর্কিত তিন কৃষি বিল প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা যখন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, তখনও কৃষকদের ‘জিহাদি’ বলে আক্রমণ করেন বলিউড অভিনেত্রী। আর সেই প্রেক্ষিতেই কঙ্গনার বিরুদ্ধে বেজায় চটেছিলেন শিখ সম্প্রদায়ের একাংশ। যার জেরে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল এফআইআর। শুধু তাই নয়, পাঞ্জাবে গিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। কঙ্গনার গাড়ি ঘেরাও করে সেইসময়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কৃষকরা। এবার সেই রাগের বশেই কঙ্গনাকে সপাটে চড় মারলেন এক মহিলা CISF জওয়ান।

[আরও পড়ুন: ‘আমাকে জেলে ঢুকিয়ে দিন’, ঘাটালে হেরে কোন অপরাধের শাস্তি চাইছেন হিরণ?]

Kangana Ranaut finds political campaigning more challenging

সদ্য মাণ্ডি লোকসভা কেন্দ্রে রাজনীতির ‘নেপোকিড’ বিক্রমাদিত্য সিংকে হারিয়ে জয়ী ক্যুইন কঙ্গনা রানাউত। বিজেপির টিকিটে ৫ লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতে সাংসদ পদে বসতে চলেছেন হিমাচলের ভূমিকন্যা। রাজনীতির ময়দানে পা দিয়েই বিরোধী শিবিরকে যে একেবারে ধরাশায়ী করে দিয়েছেন ‘মণিকর্নিকা’। গত মঙ্গলবার ভোটে জেতার পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কঙ্গনা জানান, “এই দিনটা আমার জন্য বিশেষ দিন। প্রার্থী হিসেবে এটা আমার প্রথম নির্বাচন ছিল। যেহেতু রাজনীতিতে প্রথম, তাই নানা অনিশ্চয়তা ছিল। এটা আমার প্রথম জয়ও। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার দলীয় কর্মীদের। নেতা জয়রাম ঠাকুরজিকে। যিনি প্রথম থেকে আমার পাশে ছিলেন। আমাদের সব বিধায়কদেরও ধন্যবাদ। তবে মাথানত করে ধন্যবাদ জানাই মাণ্ডির সমস্ত মানুষকে। মাণ্ডিকন্যা, মাণ্ডির বোন কঙ্গনাকে এত ভালোবাসা দিয়েছে। মাণ্ডির সেনা হিসেবে মাণ্ডিকে রক্ষা করব। বিকাশ করব।” সেই দাপুটে ভাবী সাংসদকেই চড় মারার অভিযোগ উঠল মহিলা জওয়ানের বিরুদ্ধে।

[আরও পড়ুন: ভোট মিটতেই কলকাতা ছাড়লেন বনি-কৌশানী, বিয়ের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ