Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kunal Ghosh

‘বাংলাকে কুৎসিত আক্রমণ করে ছবি আসছে, এঁরা জানেন না?’ টলিপাড়ার ‘বাবু-বিবি’দের একহাত কুণালের

‘দ্য ডায়রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ছবি নিয়েই কি এমনটা বললেন কুণাল?

Kunal Ghosh facebook post on tollywood actors goes Viral
Published by: Akash Misra
  • Posted:August 30, 2024 10:21 am
  • Updated:August 30, 2024 5:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার সকাল সকাল টলিউডের ‘ক্ষমতাশালী’ তারকাদের একহাত নিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সোশাল মিডিয়া পোস্টে কুণাল স্পষ্টই লিখলেন, এই ‘ক্ষমতাশালী’ তারকাদের নিয়ে দল একটু ভাবুক। কিন্তু হঠাৎ টলিপাড়াকে বিঁধলেন কেন কুণাল? সোশাল মিডিয়ায় ঠিক কী লিখলেন তিনি?

সোশাল মিডিয়ায় এক লম্বা পোস্টে কুণাল (Kunal Ghosh) লিখলেন, ”আফসোস লাগে। মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা এমন কিছু রাজনৈতিক ছবি করেন যা সমাজে বিজেপির পক্ষে ন্যারেটিভ তৈরি করে। এবার তো বাংলা নিয়েও কুৎসার ঝুলি আসছে। অথচ টলিগঞ্জের বাবু/বিবিরা, যাঁরা মমতাদির পাশে, দলে, মঞ্চে, ছবির ফ্রেমে থাকেন, তাঁরা নিজেদের ইমেজ গড়তে, পেশার সৌজন্য নিয়ে ব্যস্ত। দিদির পাশে ছবি দিয়ে গুরুত্ব বাড়ান, কিন্তু মমতাদির বায়োপিক বা তৃণমূলের পক্ষে বার্তা যেতে পারে, এমন কোনও সিনেমার কথা তাঁরা ভাবেন না। বরং টেকনিসিয়ানরা অনেক বেশি দরদী। এঁরা অনেক বড় নাম হতে পারেন, কিন্তু এঁদের অনেকেই দলের বোঝা। দলের সুসময়ে এঁরা হাত নেড়ে সামনে থাকেন। একটু বিতর্কিত ইস্যুতে দল পড়লেই এঁরা মুখ খোলা বন্ধ করেন। সামনে থেকে মানুষকে বোঝানোর কাজে এঁদের পাওয়া যায় না। দল না বললে কর্মসূচি, টুইটেও পাওয়া যায় না। এই যে এবার বাংলাকে কুৎসিত আক্রমণ করে ছবি আসছে, সারা দেশে/বিদেশে বাংলার ইমেজ খারাপ করার চক্রান্ত, এঁরা জানেন না? অথচ এঁরা তার পাল্টা কিছু করবেন না, করতে চাইবেন না। এঁদের কেউ কেউ আন্তরিক। বাকি ক্ষমতাশালী তারকাদের নিয়ে দল ভাবুক।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘নকল শাড়ি, নির্লজ্জ ধান্দা!’, কেয়া শেঠের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শতরূপা-চিত্রাঙ্গদার]

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসে মুক্তি পেয়েছিল পরিচালক সানোজ মিশ্রর ‘দ্য ডায়রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ছবির ট্রেলার। ঝলক মুক্তি পেতেই গোটা বাংলায় বিতর্ক ছড়িয়েছিল। এমনকী, সেই সময় রাজ্যের পুলিশ পরিচালককে বাংলার সম্মানকে ক্ষুন্ন করার অভিযোগে আইনি নোটিসও পাঠিয়েছিল। সম্প্রতি এই ছবির মুক্তির স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন রাজীব কুমার ঝা নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এই মামলাকে প্রায় গুরুত্ব না দিয়ে জানান, ”বই বা সিনেমা ব্যানের উপর সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার রয়েছে। আপনার ইচ্ছে হলে দেখুন, না হলে দেখবেন না। আপনাকে কেউ কিছু চাপাচ্ছে না। গণতান্ত্রিক দেশে এটা স্বাভাবিক। যদি কেউ কাউকে সমালোচনা করেন সেটা তার অধিকার আছে। এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা আমাদের কাছে উপচে পড়ছে। গতকালই একই ধরনের বিষয়ে একজনকে সতর্ক করেছি। এসব বাদ দিয়ে অনেক সিরিয়াস ইস্যু রয়েছে। এ রাজ্যের মানুষ অনেক সহনশীল। তাঁদের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিন।” মনে করা হচ্ছে, ছবির নাম না নিয়ে সেই প্রসঙ্গেই টলিপাড়ার ‘বাবু-বিবি’দের কটাক্ষ করলেন কুণাল।

এর আগেও ‘দ্য ডায়রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ছবির  সমালোচনা করেছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই সময় বলেছিলেন, ”এটা কোনও সিনেমা হতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ প্ররোচনা দেওয়া, ধর্মীয় ভেদাভেদ করা, বিষ ছড়ানোর চক্রান্ত। শুধু নোটিস নয়, এই পরিচালককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত। এর সঙ্গে সিনেমা, আর্ট, শিল্পের কোনও সম্পর্ক নেই। এগুলো তো বিজেপির এজেন্ডায় তৈরি হচ্ছে। বেঙ্গল স্টোরি যদি করতে হয়, তাহলে তো সেই স্টোরি শুরু হবে সেখান থেকে, যেখানে একের পর এক প্রকল্পতে প্রথম পুরস্কার পায় পশ্চিমবঙ্গ। দ্বিতীয় পুরস্কার পায় পশ্চিমবঙ্গ। সারা দেশের সেরা প্রকল্প দুয়ারে সরকার। সেই পুরস্কার পায় পশ্চিমবঙ্গ। এগুলোই তো বেঙ্গল স্টোরি। তবে যদি সন্ত্রাস দেখাতে হয়, তাহলে মরিচঝাঁপি দেখান, সাঁইবাড়ি দেখান। যেখানে ছেলেকে খুন করে তাঁর রক্ত দিয়ে ভাত মেখে মাকে খাওয়ানো হয়েছিল। একের পর এক গণহত্যা, গণধর্ষণ। বানতলা থেকে শুরু করে পর পর এমন ঘটনা। ইংরেজি তুলে দেওয়া, কম্পিউটার ঢুকতে না দেওয়া, সিপিএম জমানার সব অপশাসন, অত্যাচার সেটাই তো বেঙ্গল স্টোরি। বিজন সেতুতে আনন্দমার্গী সন্ন্যাসীদের পুড়িয়ে মারা হল। এগুলোই তো বেঙ্গল স্টোরি। এগুলো বাদ দিয়ে হিন্দু-মুসলমান করতে চান! কত বড় মিথ্যাচার, ট্রেলারে বলছে দুর্গাপুজোয় সরকার বিঘ্ন ঘটায়! এটা কি স্টোরি? কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, এই সরকার পুজোয় কমিটিদের সাহায্য করে, যাতে পুজোটা ঠিক করে হতে পারে। কার্নিভ্যাল হয়। ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে হেরিটেজের স্বীকৃতি দেয়। সেগুলোকে গোপন করে কুৎসিতভাবে ধর্মীয় বিজেপির এজেন্ডা অনুযায়ী বিষ ছড়ানো হয়েছে। সিনেমার নামে রাজনীতি, ধর্মীয় বিষ ছড়ানোর জন্য এদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত।”

[আরও পড়ুন: আদৃতের ‘পাগলপ্রেমী’র শুটিং স্থগিত! নায়ক-প্রযোজকের মনোমাল্যিন্যের জের? জল্পনা তুঙ্গে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement