সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুব সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন। প্রথম রোজগার ছিল মোটে ২৫ টাকা। সেখান থেকেই আজ একশো কোটির মালিক। অধ্যবসায় আর নিষ্ঠা এই ছিল ‘ভারতরত্ন’ লতা মঙ্গেশকরের সাফল্যের চাবিকাঠি। আপামর দেশবাসীকে কাঁদিয়ে রবিবার সুরলোকে পাড়ি দিলেন তিনি। রেখে গেলেন একশো কোটির সম্পত্তি, নামী-দামী গাড়ি। আর চিরদিনের সুর।
অতি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর ছিলেন নাট্যমঞ্চের পরিচিত মুখ। বাবার হাত ধরেই অনেক ছোট বয়সে নাটক, গানের সঙ্গে পরিচয়। দিদিমার কাছে লোকগানের তালিম নেওয়া শুরু সেই ছেলেবেলায়। মাত্র ১৩ বছর বয়সে গান গেয়ে ২৫ টাকা রোজগার করেছিলেন লতা। তার পর তো স্বপ্নের উড়ান। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মানুষেরও মন জয় করেছিল সুরেলা কণ্ঠ।
বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে সুরসম্রাজ্ঞীর মাসিক আয় ছিল প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। বছরে পেতেন প্রায় ৬ কোটি টাকা। সেই অর্থ আসত তাঁর গানের রয়্যালিটি থেকে। কোনও কোনও রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ‘নাইটেঙ্গল অফ ইন্ডিয়া’র সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা। কেউ কেউ অবশ্য দাবি করেছেন, তিনশো কোটি নয়, সম্পত্তির পরিমাণ ১০৭-১১৫ কোটি। কোটিপতি হয়েও তিনি ছিলেন মাটির মানুষ। কাছ থেকে কিংবদন্তি শিল্পীকে যাঁরা চিনতেন, সকলেই বলছেন এককথা।
গাড়ির বিষয়ে শৌখিন ছিল সংগীতসম্রাজ্ঞী। গাড়ির দুর্দান্ত সংগ্রহ ছিল লতা মঙ্গেশকরের। তাঁর বাড়ি ‘প্রভুকুঞ্জে’র গ্যারাজে ছিল কিছু সেরা এবং স্টাইলিশ গাড়ি। একাধিকবার সাক্ষাৎকারে গাড়ির প্রতি তাঁর ভালবাসার কথা বলেছেন লতা। কেরিয়ারের শুরুতে তাঁর ছিল একটি শেভরলে। মায়ের নামে গাড়িটি কিনেছিলেন ইন্দোর থেকে। লতার গ্যারেজে ছিল বুইক এবং ক্রিসলার। পরে যশরাজের তরফে তাঁকে একটি মার্সিডিজ উপহার দেওয়া হয়।
যশরাজ প্রযোজিত ‘বীরজারা’ সিনেমায় দর্শকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন লতা মঙ্গেশকরের সুরেলা কণ্ঠ। সেই সিনেমা রিলিজের সময় প্রযোজক লতাজির হাতে মার্সিডিজের চাবি তুলে দেন। সাক্ষাৎকারে সে কথা নিজেই জানিয়েছিলেন ‘ভারতরত্ন’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.