সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্ম কলকাতায় হলেও কাশ্মীরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক জোরাল। ভূস্বর্গের মাটিতেই তাঁর শিকড়। তাই কলকাতায় দাপটের সঙ্গে কাজ করলেও ভরত কলের কথাবার্তায় একাধিকবার উপত্যকার যন্ত্রণা, আর্তনাদের কাহিনি ফুটে উঠেছে। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে ঘটা সন্ত্রাসবাদের ঘটনাতেও তাই রাতভোর দু’ চোখের পাতা এক করতে পারেননি অভিনেতা।
বৈসরণ উপত্যকায় নির্বিচারে হিন্দু পর্যটকদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় ভরত কল ফিরে গেলেন অতীত স্মৃতিতে। তাঁর কথায়, “১৯৮৯ সালেও টার্গেট কিলিং হয়েছে। কাশ্মীরে এহেন ঘটনা নতুন নয়। এইজন্যই তো এত মানুষ উপত্যকা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। কারণ সেখানে বাড়িতে, অফিসে ঢুকে খুঁজে খুঁজে হিন্দুদের হত্যা করা হত।” ১৯৮৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরে হত্যা করা হয় এক হিন্দু ব্রাহ্মণকে। জেকেএলএফ-এর প্রথম টার্গেট ছিলেন উনিই। নাম পন্ডিত টিকালাল তাপলু। ওঁর হত্যা কাশ্মীরে হিন্দুদের মধ্যে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল, তার আঁচ কলকাতায় বসেও পেয়েছিলেন ভরত কল। পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সেই স্মৃতিচারণাই করলেন অভিনেতা। ভরত বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, “অমরনাথ যাত্রার কথা। তাঁর মন্তব্য, সামনেই হিন্দুদের অমরনাথ যাত্রা। অনেকেই কেদারনাথে যান। এমন ঘটনা ঘটিয়ে তীর্থযাত্রীদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া হল। কোনও না কোনওভাবে হিন্দুরা টার্গেট হয়ে যাচ্ছেন। ঠিক এই একইভাবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদেরও অত্যাচারিত হতে হয়েছিল। খুব দুঃখজনক।”
পহেলগাঁও উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদীর গুলিতে মৃত স্বামীর দেহ আগলে রাখা স্ত্রীর ছবি কিছুতেই ভুলতে পারছেন না ভরত কল। তাঁর কথায়, “কাল সারা রাত ঘুমতে পারিনি। খালি মনে পড়ছে সেই মেয়েটির কথা, যাঁর স্বামীকে চোখের সামনে গুলি করে মেরে ফেলেছে জঙ্গিরা। কী যে মানসিক যন্ত্রণা। শুধু তিনিই জানেন।” এরপরই অপর্ণা সেনের ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার’ সিনেমার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অভিনেতার মন্তব্য, “পোশাক খুলিয়ে হিন্দু-মুসলিম শনাক্তকরণের এই পদ্ধতি বরাবর চলে আসছে ওখানে। ঠিক যে মুহূর্তে দেশবাসীদের মনে হয়, কাশ্মীরে শান্তি ফিরেছে, ঠিক তখনই সন্ত্রাস ঘটে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.