সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে তিনি কাপুর পরিবারের কন্যা। অন্যদিকে নবাব পরিবারের বেগম। সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) স্ত্রী হিসেবে ভোপালের রাজপরিবারের শেষ বেগম! রাজ কাপুরের নাতনি ‘বেবো’ ছোট থেকেই লাইমলাইটে। কিন্তু এই ডাকসাইটে পরিচয় নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে ২৪টি বসন্ত পার করে ফেললেও নিজেকে ‘স্ট্রাগলার’-এর আখ্যা দিলেন করিনা কাপুর (Kareena Kapoor)।
শোনা যায় তিনি নাকি ছবি পিছু ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন। সম্প্রতি দ্য উইক ম্যাগাজিনের এক সাক্ষাৎকারে এই মোটা পারিশ্রমিক নিয়ে মুখ খোলেন করিনা। সেখানেই জানান, কেরিয়ারের এই পর্যায়ে এসে চরিত্র কিংবা সিনেমা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি এখন অনেক সচেতন। কোনও চরিত্র পছন্দ হলে সেটা কম পারিশ্রমিকেও করতে রাজি হয়ে যান। তবে কমার্শিয়াল ফিল্ম হলে সেক্ষেত্রে চড়া পারিশ্রমিক হাঁকান। একথাই জানিয়েছেন করিনা। পাশাপাশি তিনি এও উল্লেখ করে দেন যে, “স্বামীর বাড়িতে বসে ইন্টারভিউ দিচ্ছি। আমি শুধু স্ট্রাগলই করে যাচ্ছি।”
শুধু তাই নয়, ‘ক্রিউ’ অভিনেত্রী সইফ আলি খানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য নিয়েও মুখ খোলেন। ২০১২ সালে পরিবারকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেন সইফ-করিনা। তৈমুর, জেহ- দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁদের সংসার। মাঝেমধ্যেই সইফের সঙ্গে ছুটি কাটানোর ছবি দেন করিনা। তাঁদের দাম্পত্যজীবনে ঠিক কোন বিষয়টি নিয়ে ঘন ঘন অশান্তি হয়? সেকথাও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রথমেই করিনা জানান, সইফের সঙ্গে বিয়ের পর তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। অনেক বেশি দায়িত্বশীল হতে শিখেছেন। এর পাশাপাশি করিনা কাপুর বলেন, “বিবাহিত জীবনে কঠিন সময়ও দেখছি। এরকমও হয়েছে, শুট সেরে ভোর ৪.৩০টেয় বাড়ি ফিরেছে সইফ। সকালে আমি সকালে যখন বেরচ্ছি, তখন ও ঘুমোচ্ছে। পরেরদিন আবার ব্যাংকক চলে যেতে হল। তাই এক বাড়িতে থেকেও দেখা হয় না অনেকসময়। স্বামী-স্ত্রী যদি দুজনেই অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে সম্পর্কে সময় দেওয়া সত্যিই কঠিন হয়ে ওঠে। আমাদের তো ক্যালেন্ডার দেখে দিনক্ষণ ঠিক করে রাখতে হয়, কবে কখন দেখা হবে।”
এরপরই করিনার সংযোজন, “সইফ ‘ক্রিউ’ দেখেনি, ভাবা যায়! ওঁর সব সিনেমা আমাকে দেখতে হবে। কিন্তু ও আমার ছবি দেখে না! সিনেমা দেখার বিষয়ে সইফ আমাকে সহজলভ্য ভেবে নিয়েছে।” রসিকতা করেই অভিনেত্রী জানালেন, “আর হ্যাঁ, এসি কত তাপমাত্রায় থাকবে, সেটা নিয়ে সবসময়ে একটা অশান্তি লেগেই থাকে। কারণ ও যদি ১৬ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা রাখে, তাহলে আমি ২০ ডিগ্রিতে রাখতে বলি। শেষমেশ মধ্যস্থতা করে ১৯ ডিগ্রিতে ঠিক হয়। আর এক্ষেত্রে সবসময়ে সইফ বলে- আমি এরকম বহু মানুষকে চিনি, যাঁদের এসির টেম্পারেচরের জন্য ডিভোর্স হয়েছে। কিন্তু মজার বিষয়টা হয়, করিশ্মা যখন আমাদের বাড়িতে আসে। ও এসেই এসি ২৫ ডিগ্রিতে করে দেয়। তখন সইফও বলে, ভাগ্যিস আমি তোমাকে না করে করিনাকে বিয়ে করেছি। ও অন্তত ১৯ ডিগ্রিতে রাজি হয়। আরেকটা জিনিস, যেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে খুব সমস্যা হয়। সেটা হচ্ছে সময়। টাকা-পয়সা নয়, আমাদের মধ্যে সময় দেওয়া নিয়ে খুব অশান্তি বাঁধে। কারণ একে-অপরের সঙ্গে আমরা সময় কাটাতে পারি না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.