সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বেবিডল’ খ্যাত গায়িকা কণিকা কাপুর আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। এ খবর নতুন নয়। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে। যার জেরে ছ’মাসের জেলও হতে পারে এই গায়িকার। কিন্তু গোটা ঘটনা একেবারে নয়া মোড় নিয়েছে রবিবার। কারণ এদিনই এই গায়িকার পরিবারের লোকজন অভিযোগ তুলেছেন, যে রিপোর্টের ভিত্তিতে গায়িকাকে ‘কোভিড ১৯’ পজিটিভ বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে, তাতে গরমিল আছে। ওই রিপোর্ট কণিকার হতে পারে না। কারণ তাতে এমন কিছু ভুলভ্রান্তি আছে, যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, সেটি গায়িকার নয়। তাই, সাংবাদিকদের কাছে কণিকার পরিজনদের দাবি, কণিকা সত্যিই রোগাক্রান্ত কি না, তা সঠিকভাবে খতিয়ে দেখা হোক। সামনে আসুক প্রকৃত সত্য।
ঠিক কী দাবি তুলেছেন গায়িকার পরিবারের লোকজন? তাঁদের দাবি, যে স্বাস্থ্য রিপোর্টে কণিকাকে করোনা পজিটিভ বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে, সেখানে তাঁর বয়স লেখা আছে ২৮ বছর। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কণিকার বয়স ৪১ বছর। শুধু তাই নয়। রিপোর্টে গায়িকার লিঙ্গও ভুল উল্লেখ আছে। ‘মহিলা’-র জায়গায় ‘পুরুষ’ লেখা আছে। আর এই তথ্য সামনে রেখেই গায়িকার পরিবার দাবি করেছে, হতে পারে এই রিপোর্ট গায়িকার নয়। বরং অন্য কারও। কোনওভাবে রিপোর্ট অদলবদল হয়ে থাকতে পারে। বর্তমানে লখনউয়ের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিদেশ থেকে ফেরা সত্ত্বেও নির্দেশ মেনে নিজেকে ‘কোয়ারেন্টাইনে’ রাখেননি কণিকা। উলটে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও নৈশভোজে যোগ দেন। এরপরই যখন গায়িকার করোনা সংক্রমণের কথা সামনে আসে, তখন চারদিকে হইচই পড়ে যায়। অনেকেই কণিকার বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ তোলেন। এক ধাপ এগিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার গায়িকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এর পাশাপাশি যে পার্টিতে কণিকা অংশ নিয়েছিলেন, সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে ও তাঁর ছেলে দুষ্মন্ত সিং। যদিও পরীক্ষায় তাঁরা দু’জনেই করোনা নেগেটিভ
সাব্যস্ত হয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.