সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কে থাকাটা একেবারেই অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন কঙ্গনা রানাউত। আর এখন তিনি আর শুধু অভিনেত্রী নেই। বিজেপি সাংসদ হয়েও, কঙ্গনার বিতর্কে থাকাটা আরও যেন দিন দিন প্রখর হয়ে উঠছে। এবার তো কঙ্গনার ছবি ‘এমার্জেন্সি’ মুক্তির পথে। এখন যে কঙ্গনা একটু বেশিই মুখ খুলবেন, তা তো স্বাভাবিকই। আর তা করলেনও বলিউডের ক্য়ুইন। এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন কঙ্গনা। কঙ্গনার কথায়, ”গান্ধী পরিবারে জন্ম হওয়ার কারণেই ইন্দিরা নানা সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। ইন্দিরা হলেন, ভারতীয় রাজনীতির স্টারকিড!”
৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে কঙ্গনা রানাউতের এমার্জেন্সি। এই ছবির প্রচারে এসেই কঙ্গনা বললেন, ”ইন্দিরা গান্ধী একটু বেশিই পেয়ে গিয়েছেন। নেপো সিস্টেমের মাধ্যমেই তিনি রাজনীতিতে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকন্যা হওয়াতেই এত সুযোগ সুবিধা। জীবনে কোনও স্ট্রাগল নেই। তবে হ্যাঁ, ইন্দিরা খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। যখনই সমালোচনার মুখে পড়েছেন, তখনই সব সমালোচনাকে হারিয়ে নিজস্ব মতামত তৈরি করেছেন। ”
অন্যদিকে, ‘এমার্জেন্সি’ ছবি মুক্তির আগেই বিতর্কে জড়াল। এই ছবিকে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন ‘শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’-র সভাপতি হরজিন্দর সিং ধামি। তাঁর অভিযোগ, কঙ্গনার এই ছবিতে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে বিচ্ছিন্নতাকামী হিসেবে দেখানো হয়েছে। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। উপযুক্ত পদক্ষেপের জন্য আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকে। এমনীতেই এর আগে শিখ বিরোধী মন্তব্য করায় শিখ সম্প্রদায়ের রোষানলের মুখে পড়েছিলেন কঙ্গনা। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল।
‘শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’-র সভাপতি হরজিন্দর সিং জানিয়েছেন, কঙ্গনা পরিচালিত ও অভিনীত ‘ইমার্জেন্সি’ ছবিটিতে শিখ সম্প্রদায়কে ঘাতক হিসেবে চিত্রায়িত করা হচ্ছে। যা কিনা এই সম্প্রদায়ের মানুষদের মূল্যবোধে আঘাত হানে। এমার্জেন্সি ছবি মুক্তি পাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এই ছবি শিখ বিরোধী তথা পাঞ্জাব বিরোধী কথা বলে।
দেশ না সিংহাসন, কোনটা বেশি জরুরী? ‘এমার্জেন্সি’র ট্রেলারে সেই প্রশ্ন তুলেই ঝাঁজাল কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। ইন্দিরা গান্ধির আমলে সত্তরের দশকে গোটা ভারত যে জরুরী অবস্থার সাক্ষী হয়েছিল, সেই ঝলক তুলেই ট্রেলার (Emergency Trailer) প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেত্রী সাংসদ। দেশের গণমাধ্যমের কন্ঠস্বর যেভাবে রোধ করা হয়েছিল, সেই ঘটনা তুলে ধরেই ‘এমার্জেন্সি’ পর্বকে ‘গণতন্ত্রের কালো অধ্যায়’ বলে সম্বোধন করলেন কঙ্গনা।
প্রসঙ্গত, ‘এমার্জেন্সি’ ছবিতে ইন্দিরা গান্ধির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রানাউত। মাথায় কাঁচা-পাকা চুল, সামান্য মেকআপ, প্রস্থেথটিক লুকে ট্রেলারে একেবারে চমকে দিলেন অভিনেত্রী। আড়াই মিনিটের ট্রেলারে তরুণী ইন্দিরার দাপুটে উত্থান। ‘জননেত্রী’ হওয়ার গোড়ার দিকে বাবা জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে তৈরি হওয়া দূরত্বের ঝলকও দেখা গেল। তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবন জুড়ে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া ইন্দিরা গান্ধী কিভাবে সেসব ঘটনার রাশ একা হাতে রেখেছিলেন, ট্রেলারে সেই ঝলকও দেখা গেল।
অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভূমিকায় দেখা গেল শ্রেয়স তলপড়েকে। স্যাম মানেকশর চরিত্রে মিলিন্দ সোমান, জয়প্রকাশ নারায়ণ হিসেবে দেখা গেল অনুপরম খেরকে। প্রয়াত অভিনেতা উপপ্রধানমন্ত্রী জগজীবন রামের ভূমিকায় দেখা গেল সতীশ কৌশিক। ‘এমার্জেন্সি’ পরিচালনার দায়ভার নিজের হাতেই রেখেছিলেন কঙ্গনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.