সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “আগে দেশে মদ নিষিদ্ধ হোক, তারপর আমাকে শাসাবেন”, তেলেঙ্গানা সরকারের তরফে আইনি নোটিস পেয়ে পালটা ঝাঁজালো উত্তর দিয়েছিলেন দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ। গানের মাধ্যমে মদ, মাদকের প্রচার করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। বিপাকে পড়ে কোথাও বা গানের শব্দ বদলেই গাইতে হয়েছে তাঁকে। যদিও বিতর্ক ভুলে রমরমিয়ে দেশজুড়ে কনসার্ট করেছেন পাঞ্জাবি পপস্টার। ‘দিল-লুমিনাটি’ শেষ হতেই এবার দিলজিতের পাশে দাঁড়ালেন কঙ্গনা রানাউত। শিল্পীসত্ত্বার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কী পাঠ দিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী?
দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের (Diljit Dosanjh) ‘দিল-লুমিনাটি’ শো ঘিরে ঠিক যতটা উন্মাদনা ছিল, ততটাই বিতর্কের শিরোনামে থেকেছে! ‘লেমোনেড’ এবং ‘পাঁচ তারা’ এই দুটি গান নিয়েই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ। যার জেরে তেলঙ্গানা এবং গুজরাটে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল গায়ককে। যদিও এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন দিলজিৎ নিজেও। মঞ্চে উঠেই পাঞ্জাবি পপস্টার জানিয়েছিলেন, “আমাদের দেশের সব রাজ্যগুলোতে যদি মদ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করা হয়, তারপরের দিন থেকেই দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ জীবনে কোনওদিন আর ‘শরাব পি’ গানটা গাইবে না। আমি প্রতিজ্ঞা করলাম। এরপরই দিলজিতের প্রশ্ন, এটা কি সম্ভব হবে? এই ব্যবসায় আসলে অনেক লাভ। করোনাতে যখন গোটা দেশ বন্ধ ছিল, তখনও কিন্তু মদের ঠেক খোলা থেকেছে। আর আজকে এত বড় বড় কথা গান নিয়ে। যুবপ্রজন্মকে অত বোকা ভাববেন না। কোথায় আমি তো কত ভক্তিগীতি গেয়েছিস সেগুলো নিয়ে তো কেউ কথা বলে না। আমার শো যেখানে যেখানে থাকবে, সেখানে একদিনের জন্য মদ নিষিদ্ধ করে দিন। আমি মদ নিয়ে গান গাইব না।” এবার সেই একই সুর কঙ্গনা রানাউতের কণ্ঠে।
পরোক্ষভাবেই দিলজিতের পক্ষ নিয়ে সাংসদ অভিনেত্রীর মন্তব্য, “শৈল্পিকসত্ত্বা কারও ধার ধারে না। হিমাচলী লোকসঙ্গীতেও এমন অনেক বিষয় রয়েছে। শিল্পের ক্ষেত্রে আবেগটাই আসলে বড় কথা। কিন্তু যখন মানুষ সেটাকে বদ অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেন, তখন আর প্রশাসনেরও কিছু করার থাকে না। দায়িত্বটা কিন্তু সাধারণ নাগরিকেরও।” কঙ্গনা নিজেও আসলে হিমাচলের ভূমিকন্যা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.