Advertisement
Advertisement

মুম্বই ছাড়ছেন কঙ্গনা! ভোটে জিতেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন ‘মাণ্ডি ক্যুইন’

রাজনীতিতে অভিষেকেই ব্লকবাস্টার পারফরমেন্সের নমুনা রাখা সহজ নয়।

Kangana Ranaut on Bollywood
Published by: Akash Misra
  • Posted:June 6, 2024 9:08 am
  • Updated:June 6, 2024 9:09 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউডের ‘ক্যুইন’ থেকে তিনি এখন ‘মাণ্ডি ক্য়ুইন’। হ্যাঁ, হিমাচলবাসীরা এই মুহূর্তে এই নামেই সম্বোধন করছেন কঙ্গনা রানাউতকে। অন্যদিকে, কঙ্গনাও কিন্তু রাজনীতি নেমেই, বলিউডকে প্রায় ভুলেই গিয়েছেন। আর তাই তো ভোট প্রচারের সময় কঙ্গনা স্পষ্টই জানিয়ে ছিলেন, ”ভোটে জিতলে, অভিনয় ছাড়ব!” তা এবার সত্যিই কি কঙ্গনা বলিউড ছাড়ছেন?

গত মঙ্গলবার ভোটে জেতার পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কঙ্গনা জানান, ”এই দিনটা আমার জন্য বিশেষ দিন। প্রার্থী হিসেবে এটা আমার প্রথম নির্বাচন ছিল। যেহেতু রাজনীতিতে প্রথম, সেহেতু নানা অনিশ্চয়তা ছিল। এটা আমার প্রথম জয়ও। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার দলীয়কর্মীদের। নেতা জয়রাম ঠাকুরজিকে। যিনি প্রথম থেকে আমার পাশে ছিলেন। আমাদের সব বিধায়কদেরও ধন্যবাদ। তবে মাথানত করে ধন্যবাদ জানাই মাণ্ডির সমস্ত মানুষকে। মাণ্ডিকন্যা, মাণ্ডির বোন কঙ্গনাকে এত ভালোবাসা দিয়েছে। মাণ্ডির সেনা হিসেবে মাণ্ডিকে রক্ষা করব। বিকাশ করব।”

Advertisement

এদিনই কঙ্গনা জানান, ”আমি হিমাচলের মেয়ে। হিমাচল প্রদেশের উন্নতিই এখন আমার প্রধানধর্ম। তাই মাণ্ডিকে ছেড়ে মুম্বই ফিরছি না।” তাহলে কী বলিউড তথা অভিনয় ছাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন কঙ্গনা? সে প্রশ্নের অবশ্য়ই উত্তর স্পষ্ট করেননি কঙ্গনা। শুধু জানিয়েছেন, ”রাজনীতি ছাড়া আপাতত কিছু ভাবতে চাই না।”

[আরও পড়ুন: অযোধ্যায় বিজেপি হারতেই বিপাকে সোনু নিগম! ‘তিতিবিরক্ত’ হয়ে নিলেন বড় সিদ্ধান্ত]

‘খাঁটি দেশপ্রেমিক’ হিসাবে তিনি নিজেকে আগেই চিনিয়ে দিয়েছেন। এমনকী তাঁর জন্য বলিউডের হুজ-হু’র সঙ্গে লড়াই করতেও দ্বিধা করেননি। তাঁর খেসারত দিতে হয়েছে তাঁকে। তবে ঠোঁটকাটা কঙ্গনা অকুতোভয়। কোনও রকম লড়াই লড়তেই তিনি পিছপা নন কখনও। রাজনীতিতে এসেও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। মান্ডির ভোটের অঙ্কটা এবার মোটেও সরল ছিল না। লড়াইটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আত্মপ্রতিষ্ঠা বনাম আত্মরক্ষার। রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বনাম রাজনৈতিক অস্তিত্বরক্ষার। সেই লড়াইয়ের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল খোদ কঙ্গনা। তাঁর প্রবল প্রতিপক্ষ ছিলেন মান্ডির ‘রাজাসাহেব’ বিক্রমাদিত্য সিং। মান্ডির প্রয়াত রাজা বীরভদ্র সিংয়ের পুত্র। বীরভদ্র সিং হিমাচলের রাজনীতিতে কিংবদন্তি। বহুবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। হিমাচলে ‘বীরভদ্র মডেল’ বেশ জনপ্রিয়ও। যার সুফল সবচেয়ে বেশি পেয়েছে মান্ডিই। বিক্রমাদিত্যর বয়স মোটে ৩৩। ধারেভারে রাজনীতিতে তিনি অনেকটাই এগিয়ে। কঙ্গনার জন্য মান্ডির লড়াই ছিল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা পাওয়ার। কিন্তু বিক্রমাদিত্যর জন্য লড়াইটা নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার। এই আবহে অভিষেকেই ব্লকবাস্টার পারফরমেন্সের নমুনা রাখা সহজ নয়। কঙ্গনা পারলেন।

[আরও পড়ুন: ‘রামের নামে পাপ! ঈশ্বর আছে’, অযোধ্যায় বিজেপি ‘গো হারা’ হারতেই বিস্ফোরক স্বরা]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement