সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ের রাস্তায় বচসা, ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় রবিনা ট্যান্ডনের (Raveena Tandon) পাশে দাঁড়ালেন কঙ্গনা রানাউত। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন তিনি। এমন ‘হিংসাত্মক ও বিষাক্ত’ ব্যবহার যাঁরা করেছেন তাঁদের ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার কথাও বলেন কঙ্গনা (Kangana Ranaut)। এদিকে, শনিবারের এই ঘটনায় বড়সড় তথ্য জানাল মুম্বই পুলিশ।
কী হয়েছিল সেদিন? সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন তাঁর মাকে রবিনা ট্যান্ডনের গাড়ির চালক ধাক্কা মেরেছেন। এই ঘটনার পরই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। ঝামেলা দেখে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন রবিনা। অভিনেত্রীকে দেখে বিক্ষোভকারী পরিবারের মহিলারা প্রায় রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। রবিনার দিকে তেড়ে যান তাঁরা। ঘটনার জেরে অভিনেত্রী ভয় পেয়ে যান। “ধাক্কা দেবেন না দয়া করে, আমাকে মারবেন না”, বলতে থাকেন তিনি।
Allegations of Assault by #RaveenaTandon & her driver on elderly Woman Incident near Rizvi law college, family Claims that @TandonRaveena was under influence of Alcohol, women have got head injuries, Family is at Khar Police station @MumbaiPolice @CPMumbaiPolice @mieknathshinde pic.twitter.com/eZ0YQxvW3g
— Mohsin shaikh 🇮🇳 (@mohsinofficail) June 1, 2024
রবিনার উপরে চড়াও হওয়া পরিবারের অভিযোগ ছিল, অভিনেত্রী সেসময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু মুম্বইয়ের সংবাদমাধ্যমকে জোন নাইনের ডিসিপি রাজতিলক রোশন জানিয়েছেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। অভিনেত্রী বা তাঁর চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন না। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে, তাতে কারও ধাক্কা লাগার ঘটনা দেখা যায়নি। যা দেখা গিয়েছে সেই অনুযায়ী, রবিনার ড্রাইভার গাড়ি ব্যাক করছিলেন আর এই পরিবারের সদস্যরা তখনই রাস্তা পার হচ্ছিলেন। গাড়ি ব্যাক করার সময় ড্রাইভার কেন পিছনে লোকজন আছে কি না তা দেখে নেননি, সেই অভিযোগেই ঝামেলার সূত্রপাত। রবিনা নিজে এই সংক্রান্ত নানা খবর শেয়ার করেছেন। শোনা গিয়েছে, খার থানায় দুই পক্ষই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পরে তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে কঙ্গনা রানাউত রবিনাকে সমর্থন করে ইনস্টা স্টোরিতে লিখেছেন, “রবিনা ট্যান্ডনজির সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিরোধী পক্ষে আর পাঁচ-ছয় জন থাকলে হয়তো গণপিটুনির ঘটনা হয়ে যেত। রাস্তার উপরে এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনার প্রবল নিন্দা করছি। এই ধরনের মানুষদের উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত। এমন হিংসাত্মক ও বিষাক্ত ব্যবহার করে এরা যেন পার না পেয়ে যায়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.