সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (CoronaVirus) কালে কথাযুদ্ধের আখড়া হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। দিনভর চলছে একের পর এক তরজা। এবার শহিদ ভগৎ সিংয়ের (Bhagat Singh) জন্মবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে বাকযুদ্ধে মাতলেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) এবং জাভেদ আখতার (Javed Akhtar)।
১৯০৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় শহিদ ভগৎ সিংয়ের। সোমবার সকাল থেকেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট শুরু হয়ে যায়। কঙ্গনাও পোস্ট করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন দুপুরে টুইটারে (Twitter) জাভেদ আখতার লেখেন,
“শহিদ ভগৎ সিং একজন মার্কসবাদী ছিলেন এবং আমি একজন নাস্তিক শীর্ষক প্রবন্ধও লিখেছিলেন। কিছু মানুষ এই সত্যের মুখোমুখি হতে চান না আবার অন্যদের কাছ থেকেও লুকিয়ে রাখেন। কারা এঁরা আন্দাজ করতে পারছেন? ভাবি তিনি আজ বেঁচে থাকলে এঁরা তাঁকে কী বলে সম্বোধন করত?”
জাভেদের এই টুইট শেয়ার করে কঙ্গনা আবার লেখেন,
“আমিও ভাবি ভগৎ সিং বেঁচে থাকলে কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিজের দেশের মানুষের বেছে নেওয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতেন? তিনি কি ধর্মের ভিত্তিতে ভারতমাতার বিভাজন দেখতে পারতেন? তারপরও কি নাস্তিক থাকতেন না বাসন্তী চোলা পরে নিতেন?”
I also wonder if #BhagatSing was alive would he rebel against the government chosen by his own people by a democratic process or will he support them?Had he seen Bharat Mata cut in pieces based on religions would he still choose to be an atheist or will he wear his Basanti Chola? https://t.co/1ZkMlAbn1J
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 28, 2020
উল্লেখ্য, বাসন্তী রংকে বলিদান ও ত্যাগের প্রতীক হিসেবে ভাবা হয়। ঠিক যেমন ভারতীয় পতাকায় গেরুয়া রং। অনেকেরই ধারণা নিজের মন্তব্যে যেন গেরুয়া শিবিরের পক্ষ নিয়েই বললেন কঙ্গনা। এর আগেও তিনি গেরুয়া শিবিরের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন। আবার কঙ্গনার মা-ও বিজেপিতে যোগদান দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, শিব সেনার (Shiv Sena) নেতৃত্বাধীন বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের (BMC) বিরুদ্ধে কঙ্গনার লড়াইয়েও নেপথ্যের শক্তি বিজেপিই।
ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতেই BMC-কে তাঁর পালি হিলের অফিস গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মর্মে বম্বে হাই কোর্টে (Bombay High Court) অভিযোগ করেন কঙ্গনা। ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান। সোমবার ভিডিও কনফারেন্সে তাঁর সেই আবেদনের শুনানি ছিল। সেখানে কঙ্গনাকে উদ্ধৃত করে তাঁর আইনজীবী জানান, কঙ্গনার টুইটের জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে আক্রোশ মিটিয়েছেন সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। কঙ্গনাকে শিক্ষা দিতেই BMC-র মাধ্যমে প্রতিশোধ নেন। কঙ্গনাকে কুকথা বলা হয় বলে অভিযোগও করা হয়। এর জেরেই আদালতে একটি অডিও চালানো হয়। বিপক্ষের আইনজীবী অডিও শোনার পর দাবি করেন, ক্লিপে সঞ্জয় কঙ্গনার নাম উচ্চারণ করেননি। এর প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার ফের শুনানি ধার্য হয়। সঞ্জয়কে নিজের সপক্ষে বক্তব্য পেশের নির্দেশ দেয় বম্বে হাই কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.