Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kali Puja 2024

কালীবন্দনায় খরাজ, বীরভূম থেকে আসছে নাড়ু, কেমন চলছে পুজোর আয়োজন?

খরাজ মুখোপাধ্যায়ের কালীবন্দনার ইতিহাস পঞ্চাশ বছরেরও বেশি।

Kali Puja 2024: Kharaj Mukherjee about his Kali Puja Preparation
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:October 22, 2024 2:49 pm
  • Updated:October 26, 2024 1:55 pm  

সুপর্ণা মজুমদার: ‘কালীনামে দাও রে বেড়া, ফসলে তছরুপ হবে না…’, ভক্ত খরাজ মুখোপাধ্যায়ের এই মান্যতা। তাই তো মুক্তকেশীর কালো মুখটা দেখলেই মনটা ভরে ওঠে। প্রতিবারের মতো এবারও কালী সাধনায় ব্রতী অভিনেতা। নাড়ু আসছে বীরভূম থেকে। নিয়ে আসছেন খরাজের গিন্নি। আর দেবী প্রতিমা এবার একটু আগেই বাড়িতে নিয়ে আসবেন অভিনেতা। কেন? কীভাবে হচ্ছে আয়োজন? জানালেন তারকা।

Kharaj-Kali-1

Advertisement

খরাজ মুখোপাধ্যায়ের(Kharaj Mukherjee) বাড়ির কালীবন্দনার ইতিহাস পঞ্চাশ বছরেরও বেশি। অভিনেতার বাবা কৃষ্ণনগর থেকে একটি সরা এনেছিলেন। তাতেই আঁকা ছিল দেবী-আকৃতি। প্রথম সরাপুজোই শুরু হয়। কিন্তু এত বছরে সেই সরার অনেক ক্ষতি হয়েছে। খরাজের দাদা উদ্যোগী হন। কৃষ্ণনগর থেকে কারিগর ডেকে এনে সেই সরা মেরামত করান তিনি। সেটি এখন সযত্নে এক বাক্সে রয়েছে। তবে তা ছোঁয়া সম্ভব নয়। তাই কালীপ্রতিমা পুজো শুরু হয়।

কৃষ্ণবর্ণের কালীই প্রতিবার নিয়ে আসেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। একেবারে জাগ্রত প্রতিমা। আপাতত মিলন ভৌমিকের একটি সিনেমার শুটিং করছেন অভিনেতা। আবার ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠানও রয়েছে। তাই এবারে আগেভাগেই দেবীপ্রতিমাকে বাড়ি নিয়ে আসবেন। অভিনেতার স্ত্রী রয়েছেন বীরভূমের পাথাই এলাকার গ্রামের বাড়িতে। সেখানে কিছু সংস্কারের কাজ রয়েছে। সেখান থেকেই নাড়ু বানিয়ে নিয়ে আসবেন। আর প্রতিবারের মতো এবারও ভোর থাকতে থাকতে হাওড়ার ফুল মার্কেটে চলে যাবেন খরাজ। মায়ের জন্য প্রত্যেকটা ফুল, মালা নিজে বেছে নিয়ে আসবেন।

 

Kali-1
ফাইল ছবি

খরাজের ছেলেও কালীপুজো(Kali Puja 2024) নিয়ে অত্যন্ত উৎসাহী। তবে তিনি এখন থাকেন মুম্বইয়ে। আসতে পারবেন কি? অভিনেতা জানেন না। আসলে আনন্দের শেষ থাকবে না। খুব ভালো রান্না করেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। আগে পুজোর রান্নাবান্না নিজেই করতেন। কিন্তু এখন আর বাড়িতে অত আয়োজন করার অবকাশ নেই। তাই বাড়ির কাছেই এক জায়গায় রান্না করা হয় ক্যাটারারকে দিয়ে। ভোটে থাকবে খিচুড়ি, পাঁচরকমের ভাজা, মিষ্টি। আর নিমন্ত্রিতদের জন্য অবশ্যই মাংসের আয়োজন। সঙ্গে ফ্রাইড রাইস হতে পারে।

ভোরের আলো ফোটার আগেই পুজোর ঘট ভরা হবে। বাড়ির দরজায় বসানো হবে কলাগাছ। পুজোর দিকটা খরাজের বড়দাই দেখেন। মন্ত্রোচ্চারণেই মন হল পুলকিত। বাড়িতে বন্ধু-বান্ধবরাও আসবে। হবে একটু গানবাজনা। পরের দিন দধিকর্মার আয়োজন। সবাই মিলে বিসর্জনে যাওয়া। আবারও একটা বছরের অপেক্ষা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement