সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাওয়াল সন্ন্যাসীর গল্প সর্বজনবিদিত। কিন্তু প্রচলিত ভাওয়াল সন্ন্যাসীর গল্প ও আসল সত্যির মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। তেমনই মত পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের। তিনি যখন ছবির পরিকল্পনা শুরু করেন, অনেক গবেষণা তাঁকে করতে হয়। আর এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।
বহুচর্চিত ছবি ‘এক যে ছিল রাজা’। ছবির লুক, টিজার ও ট্রেলার প্রকাশের পর এই নিয়ে চর্চা আরও বেড়েছে। অভিনেতাদের অদ্বিতীয় অভিনয়, ঝাঁ চকচকে সিনেমাটোগ্রাফি, চোখ ধাঁধাঁনো সেট, আবহসংগীতের মূর্ছনা আর সর্বোপরি ডিরেকশন; সব মিলিয়ে ‘এক যে ছিল রাজা’ নিয়ে এখন দর্শকদের চাহিদা তুঙ্গে। কিন্তু এর জন্য পরিচালক-সহ ছবির গোটা টিমকে বেশ খাটতে হয়েছে। বিশেষত প্রি-প্রোডাকশনের সময়। গবেষণা করতে হয়েছে বিস্তর। এর জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বই ‘প্রিন্সলি ইম্পস্টার: দ্য স্ট্রেঞ্জ অ্যান্ড ইউনিভার্সাল হিস্ট্রি অফ কুমার অফ ভাওয়াল’, মুরাদ ফৈজির বই ‘এ প্রিন্স’, ‘পয়জন এন্ড টু ফিউনারাল’ এই বইগুলি তো তাঁকে সাহায্য করেছেই৷ এছাড়া যেহেতু ভাওয়াল সন্ন্যাসীর বসতভিটে বাংলাদেশ, সেহেতু তাঁর অভিনেত্রীকে গবেষণার কাজে লাগিয়েছিলেন পরিচালক৷
[ জীবনযুদ্ধে ইতি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু রাজ কাপুরের স্ত্রীর ]
সৃজিত জয়াকে অনুরোধ করেছিলেন ভাওয়াল রাজবাড়ির এখন কী অবস্থা, তার ছবি পাঠাতে। জয়া নিজে সিনেমার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর নিজেরও আগ্রহ ছিল ‘এক যে ছিল রাজা’ নিয়ে। তাই চটজলদি রাজিও হয়ে যান। কিন্তু বাংলাদেশের ভাওয়াল রাজবাড়ি এখন একটি প্রশাসনিক ভবন। তাই সেখানে শুটিং করা সম্ভব নয়। শুধু ছবির লোকেশন নয়, সংলাপের ভাষা নিয়েও গবেষণায় সাহায্য করেন জয়া। ভাওয়াল রাজবাড়ি গাজিপুর জেলায়। সেখানকার বাচনভঙ্গি নিয়েও গবেষণা করে আসেন জয়া। তা পাঠিয়ে দেন কলকাতায়।
ছবিতে জয়া আহসান রাজার মেজবোনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। নাম মৃণ্ময়ী দেবী। এবছর পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে ‘এক যে ছিল রাজা’।
[ পুজোয় শহর ছেড়ে পালাতে চাইছেন বেণুদা, ঋত্বিক! কেন? ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.