Advertisement
Advertisement
নুসরত জাহান

মহাষ্টমীতে অঞ্জলি দিয়ে ফের মৌলবাদীদের রোষের শিকার সাংসদ নুসরত

মৌলবাদীদের মন্তব্য, "দুর্গাপুজো করা ইসলামের অপমান"।

Islamic radicals target Nusrat Jahan over Durga Puja Anjali
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:October 7, 2019 3:03 pm
  • Updated:October 7, 2019 3:03 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের পর এটাই অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরতের প্রথম পুজো। তাই এবছর যে বিশেষভাবে দুর্গাপুজো পালন করবেন তিনি, তা কিছুটা আগে থেকেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। মহাষ্টমীতে স্বামী নিখিল জৈনকে সঙ্গে নিয়ে অঞ্জলি দিয়েছিলেন নুসরত জাহান জৈন। পাশে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। সাবেকী সাজে নিষ্ঠাভরে অঞ্জলি দেওয়ার পর ঢাক বাজিয়েছিলেন নিখিল। সেই তালে মেতে খানিক কোমরও দুলিয়েছেন নব পরিণীতা নুসরত। এককথায় জমজমাট মহাষ্টমী কাটিয়েছেন নবদম্পতি। আর ঠিক সেই কারণেই ফের মৌলবাদীদের রোষানলে পড়তে হয়েছে এই তারকা সাংসদকে। অভিনেত্রীর উপর জারি হয়েছে ফতোয়াও। 

[আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশ পেয়েই সেলেবদের বিরুদ্ধে মামলা, প্রশাসনের সীমাবদ্ধতার কথা জানাল বিহার পুলিশ ]

দুর্গাপুজো করা ইসলামের অপমান। একজন ইসলাম ধর্মালম্বী হয়ে কী করে তিনি পুরোপুরি বাঙালিয়ানায় মেতে দুর্গা আরাধনা করতে পারেন? প্রশ্ন তুলেছেন মৌলবাদীরা। তাঁদের কথায়, “একজন মুসলমান কোনও ভাবেই অন্যান্য ধর্ম অনুসরণ করে তাঁদের দেবদেবীদের পুজো করতে পারেন না! আর যদি সেরকম কিছু করা হয়, তাহলে তা ঘোর ইসলাম বিরোধী। তা ‘হারাম’ বলে গণ্য হয়। তবে নুসরত এক ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের ঘরে জন্মে সব কিছুর উর্দ্ধে গিয়ে নুসরত দুর্গাপুজো করেছেন, অঞ্জলি দিয়েছেন। যা ইসলামের চোখে রীতিমতো অপরাধ বলে গণ্য হয়! নুসরত ইসলাম ধর্মকে অপমান করেছেন।” 

Advertisement

প্রসঙ্গত নুসরত যে এই প্রথম উগ্র মনোভাবাপন্ন মৌলবাদীদের রোষানলে পড়েছেন, এমনটা নয়। বিয়ের পরও সিঁদুর পরে নব পরিণীতা বেশে সংসদের প্রথম অধিবেশনে শপথ নিয়ে নুসরত চক্ষুশূল হয়েছিলেন তাঁদের। তৃণমূলের এই তারকা সাংসদের উপর জারি হয়েছিল ফতোয়া। লোকসভা ভোটের প্রচারের সময়েও নুসরত কালী মন্দিরে যাওয়ায় বেজায় চটেছিলেন মৌলবাদীরা। সেসময়ে নুসরতের সমর্থনে আওয়াজ তুলেছিলেন বিজেপির মহিলা সাংসদরাও।

[আরও পড়ুন: স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমবার অঞ্জলি দিলেন নুসরত, মায়ের কাছে কী চাইলেন সাংসদ? ]

উল্লেখ্য, এর আগে ফতোয়া জারি প্রসঙ্গে নুসরত বলেছিলেন, “একজন হিন্দুকে বিয়ে করা মানে এই নয় যে আমি আমার মুসলিম সত্ত্বা বিসর্জন দিয়ে দিয়েছি। মুসলিম পরিবারে জন্মেছি। আর সেই আভিজাত্যই বজায় রেখে যাব। কিন্তু অন্য ধর্মকে সম্মান করাতে তো দোষের কিছু নেই!” কেন ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা? প্রশ্ন তুলেছিলেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান জৈন।   

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement