মুক্তির অপেক্ষায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ৫০তম ছবি ‘অযোগ্য’। তার আগে ঋতুপর্ণার সঙ্গে রিল ও রিয়্যাল কেমেস্ট্রি নিয়ে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মুখোমুখি বিদিশা চট্টোপাধ্যায়।
আপনি এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জুটি হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অযোগ্য’ আপনাদের পঞ্চাশতম ছবি। প্রায় তিরিশ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করছেন আপনারা। অবাক লাগে না?
প্রসেনজিৎ: একটু তো অবাক লাগছেই। পঞ্চাশটা ছবি করে ফেলব, এটা কখনওই প্ল্যান ছিল না। এটাকে বোধহয় ডেস্টিনি বলে। ইতিহাস তো তৈরি করা যায় না, ওটা আপনা থেকেই হয়। আমাদের পরিচালক, অন্যান্য কলাকুশলীরা, যাদের সঙ্গে তিরিশ বছর ধরে কাজ করেছি এবং ফাইনালি দর্শকের অবদান অনস্বীকার্য। এমনকী যখন একটা বিরতির পর আমরা কামব্যাক করলাম তখন যেভাবে দর্শকের ভালোবাসা পেলাম, ভাবাই যায় না। আগে হয়তো বছরে দশ-বারোটা ছবি করতাম, কিন্তু ‘প্রাক্তন’-এর পর ডিসাইড করি দু-তিন বছর গ্যাপ দিয়ে আমরা ছবি করব। এখন ছবির দর্শক বদলেছে, সিনেমার ভাষা এবং ল্যাঙ্গোয়েজ পাল্টে গিয়েছে। আমরা নিজেরা যেভাবে নিজেদের প্রোজেক্ট করি, সেটার মধ্যেও পরিবর্তন এসেছে। ‘ঋতু’ আর ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’-এর ‘ঋতু’ নেই। আমিও আর সেই প্রসেনজিৎ নেই।
সেই জন্যই কি বেছে বেছে কাজ করা?
প্রসেনজিৎ: হ্যাঁ, আর সেই কারণে আমরা দুজন মিলে সিদ্ধান্তে এসেছিলাম যে ভালো পরিচালকদের সঙ্গে সিলেকটিভ প্রোজেক্টে কাজ করব। নন্দিতা-শিবপ্রসাদ, সৃজিত, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়–এঁদের সঙ্গে কাজ করব। আমি কাউকে ছোট করছি না। ‘প্রাক্তন’-এর পর প্রচুর অফার এসেছিল দুজনকে কাস্ট করে ছবি করার জন্য। আই মেড ইট এ পয়েন্ট, দ্যাট আই উইল নট ডু ইট। অপেক্ষা করব, সঠিক স্ক্রিপ্টের জন্য এবং ভালো পরিচালকের জন্য। আমার এবং ঋতুর একটা ওজন আছে, তাই তেমন ওজনদার পরিচালককে প্রয়োজন যিনি অভিজ্ঞ এবং আমাদের ডায়নামিক্সটা বুঝবেন। না হলে করার কোনও মানে হয় না।
পঞ্চাশতম ছবি স্পেশাল হওয়া দরকার। ‘অযোগ্য’ কতটা ‘যোগ্য’ ছবি? কেন ‘হ্যাঁ’ বললেন?
প্রসেনজিৎ: অবশ্যই, আমি ও ঋতু আছি মানেই এটা প্রেমের গল্প। প্রেম নিয়ে মানুষের একটা নির্দিষ্ট ধারণা আছে। কিন্তু কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের একটা ক্ষমতা আছে অন্যরকমভাবে, আউট অফ দ্য বক্স কিছু ভাবার। কিন্তু আবার দেখতে গেলে গল্পটা এমন যে সেটা আমাদের জীবনের মধ্যে, আশপাশে ভেসে বেড়ায়। ‘অযোগ্য’ শব্দটা আমরা প্রায়ই ব্যবহার করি। অমুক নারী, তমুক পুরুষ অযোগ্য– এমনটা আমরা হামেশাই বলে থাকি। এটা জীবনের গল্প। আর কৌশিকের প্লাস পয়েন্ট হল দারুণ স্টোরিটেলার। এবং আমার আর ঋতুর জুটির কিছু এলিমেন্ট আছে সেটাকেও রেখেছে গল্পে। সেটা হয়তো আমি পিন পয়েন্ট করতে পারব না। তবু যেমন একজন তৃতীয় ব্যক্তি থাকে আমাদের সম্পর্কের মধ্যে। ‘প্রাক্তন’-এ অপা ছিলেন, ‘দৃষ্টিকোণ’-এ চুর্ণী, এখানে শিলাজিৎ রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে।
মানে কেউ না কেউ সবসময়ই আপনাদের সম্পর্কের মাঝে এসে পড়ছে বারবার। এতে কি পরস্পরের প্রতি টান বাড়ে?
প্রসেনজিৎ: হ্যাঁ, একটা কেমিস্ট্রি তৈরি হয় যেটার একটা টান আছে।
এই ছবিতে পরকীয়া প্রেম আছে আপনাদের চরিত্রের মধ্যে। এই প্রেম যেমন ক্ষত-বিক্ষত করে, আবার কাছেও টানে। সেই টানাপোড়েনের মধ্যে কীভাবে আপনাদের কেমিস্ট্রি তৈরি হচ্ছে ‘অযোগ্য’-য়?
প্রসেনজিৎ: এটা একটু আর্লি বলা। ছবিটার সম্পর্কে অনেকটা বলা হয়ে যাবে। এটা তো সত্যিই কিছু প্রেম সম্পূর্ণ হয়, কিছু প্রেম অপূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু সেটাকে সাইকোলজিকালি মানুষ কীভাবে সামলায়, ডিল করে এবং সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রেমের ভাষাটা পাল্টায়, প্রেমের চাহিদাগুলো পাল্টায়, প্রেমের আঙ্গিক বদলে যায়। এই ছবিতে কৌশিক যেখান থেকে সম্পর্কটা ধরেছে, সেখানে দুটো মানুষের সম্পর্ক এবং জীবন নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে গিয়েছে। তাই বারবার বলছি, ‘অযোগ্য’ প্রেমের একটা অন্য ছবি তুলে ধরে। এই প্রেমটা সকলের মনের মধ্যে থাকে, কখনও প্রকাশ করতে পারি, কখনও পারি না।
আপনার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে পরকীয়া প্রেমকে আপনি কীভাবে দ্যাখেন?
প্রসেনজিৎ: প্রেমটা যদি সত্যিকারের প্রেম হয় তাহলে সেটা কখনও জেনেশুনে, ভেবে চিন্তে, কলিং বেল টিপে আসবে না। ইট হ্যাপেনস। এবার তুমি কীভাবে সেটাকে হ্যান্ডেল করবে সেটা তোমার ব্যাপার। কারণ একটা সামাজিক দায়িত্বও থাকে। কিন্তু প্রেমকে ওইভাবে জাস্টিফাই করা বা দাগিয়ে দেওয়া যায় না। ‘পরকীয়া প্রেম’ কথাটা আমার কাছে অদ্ভুত লাগে। প্রেম তো প্রেমই, সেটা কার সঙ্গে কখন, কীভাবে হবে কেউ জানে না।
এখনও প্রেমে পড়েন?
প্রসেনজিৎ: অত প্রবলভাবে প্রেমে না পড়লেও, কিন্তু মানুষকে ভালো তো লাগে এখনও। এবং এতে আমি অন্যায় বা দোষের কিছু দেখি না। এটা যুগে যুগে ছিল, আছে, থাকবে। এবং প্রেম নিয়ে আমি কখনও কারও বিষয়ে জাজমেন্টাল হই না।
আপনারা দুজনেই সোশ্যাল মিডিয়া আসার আগে একসঙ্গে কাজ করেছেন। এখন যেমন অভিনেতাদের নানা অজানা তথ্য আমরা সহজেই জেনে যাই। কিন্তু আপনারা কেমন ছিলেন, কীভাবে নিজেদের এক্সপ্রেস করতেন তার সবটা দেখা যায় না। অনেক কিছুই অধরা। এটাই কি আপনাদের দীর্ঘস্থায়ী কেমিস্ট্রির রহস্য?
প্রসেনজিৎ: আমি যে প্রফেশনে আছি, আমি উত্তম কুমারকে মেনে চলি। বাকি যে ক’বছর কাজ করব ওটা মেনে চলব। আমি সোশ্যাল মিডিয়াকে ডিনাই করছি না। কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে যারা এই সোশ্যাল মিডিয়া পূর্ববর্তী যুগে কাজ করে গিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেই এখন ৫৫ প্লাস। আর আমি বলি, উই আর ব্লেসড। বড় পর্দায় আমরা ম্যাজিক বিক্রি করছি, স্বপ্ন বিক্রি করছি, সেটা রিয়্যাল নয়, আর আমাদের রিয়্যালিটির নানা ছবি, মুহূর্ত যদি ঘরে বসে লোকে মোবাইলে দেখে ফ্যালে তাহলে দর্শক কেন হলে গিয়ে টিকিট কাটবে? আমি অমিতাভ বচ্চনের ছবি ব্ল্যাকে টিকিট কেটে কেন দেখতে যেতাম? ফ্যান ছিলাম। আমি যদি তার সব জানতে পারতাম তাহলে কৌতূহল বলে কিছু থাকত না। ঠিক যেমন উত্তম-সুচিত্রা। তাদের অনেক কিছুই আমরা জানি না। এই জুটিকে ঘিরে উৎসাহ ছিল, একশো বছর পরেও থাকবে।
এগজ্যাক্টলি আপনাদের পরে কিন্তু সেভাবে শক্ত জুটি তৈরি হয়নি। কী মনে হয়, সোশ্যাল মিডিয়া আসায় সব রোম্যান্স, আলো-আঁধারি উধাও হয়েছে?
প্রসেনজিৎ: পুরোপুরি উধাও হয়েছে কি না জানি না, তবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, টু মাচ অফ এক্সপোজার ইজ নট রাইট। আমার পরবর্তী প্রজন্মকেও সেটা বারবার বলি। আমি আর ঋতু কোনও একটা ছবি করছি ধরা যাক। তার বাইরে গিয়ে যদি সারাক্ষণ দুজনের গল্প করার, চা খাওয়ার ছবি শেয়ার করতে থাকি তাহলে কি ম্যাজিকটা কাজ করত? আমার সন্দেহ হয়। ম্যাজিক টিকিয়ে রাখার নিশ্চিত ফর্মুলা আমার জানা নেই, তবে বেশি এক্সপোজার ভালো না। ধর্মেন্দ্র-হেমা, অমিতাভ-রেখা– এরা পাশাপাশি থাকলে ক্যামেরা এদের দিকে ঘুরে যাবে। এই ম্যাজিকটা আমরা ঘটাচ্ছি না, এটা ঘটে, হয়ে যায়।
ঋতুপর্ণার সঙ্গে আপনার পেশাদার সম্পর্ক তিরিশ বছরের। আপনাদের মধ্যে কার ইগো বেশি, কে বেশি অভিমানী? এই লাভ-হেট সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখলেন কীভাবে?
প্রসেনজিৎ: অভিমানী আমরা দুজনেই। ঋতুর অভিমান বোঝা যায়, আমার অভিমানটা বোঝা যায় না। তবে আমাদের দুজনের মধ্যে একটা মিল আছে। লোকে আমাদের যতই অযোগ্য বলুক, আমরা দুজনেই কিন্তু হেল্পফুল, মানে বলতে চাইছি, ইন্ডাস্ট্রি বলে– বুম্বাদা বা ঋতুদির কাছে গেলে ‘না’ শোনা যায় না। আমরা দুজনেই এখন সিনিয়র। দুজনেই নিজেদের মতো করে চেষ্টা করি কারও সাহায্য লাগলে পাশে থাকতে। আর ইগো নিয়ে সেইভাবে ভাবিনি। ঋতু আমার থেকে অনেকটা ছোট। যখন আমরা ১৯৯৪-এ প্রথম এক ছবিতে কাজ করি, তখন ও সবে কাজ করা শুরু করেছে। একদম নতুন। সেই ছবি (নাগপঞ্চমী) ফিফটি উইক চলেছিল। তারপর আমি একটা ব্যক্তিগত কারণে আড়াই-তিন বছর কাজ করিনি। সবাই জানে সেটা। তারপর ফিরে এসে আবার ঋতুর সঙ্গে কাজ করলাম। তখনকার দিনে ভালো কাজ করলে রটে যেত। একটা বাজ তৈরি হত। সেই সময় ঋতু অনেকের সঙ্গেই কাজ করেছে। ইগোটা খুব ভালো বুঝিনি। প্রথম দিকে যখন কাজ করেছি ওকে বকাবকিও করেছি, শিখিয়েওছি। আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে এত কথা। প্রেমটা সত্যিই হয়েছিল?
কতটা গভীর?
প্রসেনজিৎ: আমাদের প্রেম হয়েছিল কি না এটা রহস্যই থাক। প্রেমের সবসময় সহজ ব্যাখ্যা হয় না। প্রেমের ক্ষেত্রে সবসময় দুয়ে দুয়ে চার করা যায় না। কিন্তু একটা কেমিস্ট্রি তো নিশ্চয়ই আছে। দর্শক আমাদের প্রেম দেখতে চায়। তো তাদের বিশ্বাসটা বিশ্বাসের জায়গায় থাকুক, তাই না!
এরপরে যদি অটোবায়োগ্রাফির পার্ট টু বেরয় তখন কি আপনাদের মধ্যেকার সত্যিটা লিখবেন?
প্রসেনজিৎ: হয়তো লিখব… আর আমি কিন্তু কখনও কোনও কিছু ডিনাই করি না। সেই মানুষটা আমি নই। আমি আমার জীবনে অনেক ব্যক্তিগত সমস্যার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। কোনও কিছুই ডিনাই করিনি।
টানা কাজ করার পর দুজনেই পরস্পরের সঙ্গে ছবি করা বন্ধ করলেন। কী এমন ঝগড়া হয়েছিল? ২০০২ সাল সেটা।
প্রসেনজিৎ: সেই আবার অযোগ্য হয়ে ওঠার প্রসঙ্গ ওঠে। একটা কারণ বোধহয় দুজনেরই মনে হয়েছিল। কিছুদিন আমরা কাজ করব না।
কিছুদিন তো নয়… বছর–
প্রসেনজিৎ: হ্যাঁ, বাট দেন শি গট ম্যারেড। আমি আমার মতন কাজ করেছি। ঋতু ওর মতো কাজ করেছে। আমাদের দেখা হলে কিন্তু কথা হত। তারপর একটা পয়েন্ট পেরনোর পর মনে হল, দুজনেই ম্যাচিওর, ভালো প্রোজেক্ট এলে কাজ করা উচিত। ‘প্রাক্তন’ হল। মনে হল শিল্পী ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ এবার ফিরুক।
ঝগড়া-মান-অভিমান হয়নি!
প্রসেনজিৎ: এটাকে ঠিক ঝগড়া বলব না। এটা একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং ফর বিগার রিজন।
মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং নয়?
প্রসেনজিৎ: না, সেটা বলা ঠিক হবে না। একটা ঘটনার কথা বলি, বারো-চোদ্দো বছর আগের কথা। ‘ফিকি’-তে তখন আমি ‘চেয়ার’ করি। সেই সময় দুই ঋতুর সঙ্গেই কথা বলি না। ঋতুপর্ণর সঙ্গে আমার পুরোদস্তুর ঝগড়া। ওর সঙ্গে সেটা মাঝে মাঝেই লেগে যেত। তো সেই সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরা থাকবেন। আমি যে চেয়ারে বসব তার একপাশে ঋতুপর্ণ ঘোষ এবং আরেকপাশে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত না থাকলে সেটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। ইগো ধরে রাখিনি। দুজনকেই জানিয়েছিলাম, দুজনেই এসেছিলেন। আসলে সময়ের সঙ্গে, বয়স বাড়ার সঙ্গে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টায়।
আপনার কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ পরিচালক ঋতুপর্ণ, সহঅভিনেত্রী ঋতুপর্ণা– এই দুজনেই ঋতু!
প্রসেনজিৎ: ‘ঋতু’ পরিবর্তন হয়নি… (হাসি) একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। গত বছরে দুটো ছবি। ‘দশম অবতার’, ‘শেষ পাতা’।
যখন বক্স অফিসে হিট ছবির থেকেও ‘শেষ পাতার’ মতো নিশ ছবিতে আপনার প্রশংসা হয়, তখন কী মনে হয়?
প্রসেনজিৎ: আমি কিছু ছবি করি এই আশায়, যে ছবিটা চলবে, আবার কিছু-কিছু ছবি চলবে না জেনেও করি, কারণ আমার বডি অফ ওয়ার্ক-এ সেটা একটা আলাদা মাত্রা যোগ করবে। আর আমি যদি এখন না করি, তাহলে আর কবে করব! ‘শেষ পাতা’ আগামী দিনে দৃষ্টান্ত হিসাবে থেকে যাবে। একটা জিনিস আমি বলতে চাই। বাংলা ছবির যে ঐতিহ্য এবং নিজস্বতা আছে সেটা এই ‘শেষ পাতা’ বা এই ঘরানার ছবিগুলোর মধ্যে আছে, আর এই জনারের ফিল্ম মেকিংয়ে আমরা লিডার। এই ছবি যদি লোকে একটুও না দেখে তাহলে এই ছবিগুলো হওয়াই বন্ধ হয়ে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.