সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সলমন খানের (Salman Khan) বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় নয়া তথ্য এল প্রকাশ্যে। তাও আবার পঞ্চম অভিযুক্তর সূত্র ধরে। হামলার দুই দিন আগে অর্থাৎ ১২ এপ্রিল ভাইজানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে রেইকি করতে গিয়েছিল এই অভিযুক্ত। অ্যাপার্টমেন্টের ভিডিও-ও তোলে সে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই খবর। প্রথমে জানা গিয়েছিল, রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া এই পঞ্চম অভিযুক্তের নাম মহম্মদ চৌধুরী। পরে আবার জানা যায়, তার নাম রফিক চৌধুরী। জানানো হয়, ১২ এপ্রিল সে যে ভিডিও তৈরি করেছিল তা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই অনমোলকে পাঠানো হয়েছিল। ৮ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে সে দুই শুটার সাগর ও ভিকির সঙ্গেও দেখা করেছিল। এই দুই অভিযুক্তকেই বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পয়লা বৈশাখের দিন আচমকাই সলমনের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুই বাইক আরোহী এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সলমনের ‘গ্যালাক্সি’ অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে। বুলেট গিয়ে লাগে সুপারস্টারের বাড়ির দেওয়ালে। গুলি চালিয়েই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। ঘটনার তদন্তভার যায় মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে।
ঘটনার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই ভিকি গুপ্ত (২৪) ও সাগর পালকে (২১) গ্রেপ্তার করে ভুজ পুলিশ। ধৃতদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এই দুজনকে জেরা করেই তাপি নদীতে বন্দুক ও গুলি ফেলার কথা জানতে পারে পুলিশ। নদী থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি বন্দুক ও তিনটি ম্যাগাজিন। এপ্রিল মাসেই আবার পাঞ্জাব থেকে সোনু কুমার বিষ্ণোই ও অনুজ থাপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পয়লা মে এই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। হাজতেই অনুজ থাপনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, গারদের ভিতরেই আত্মহত্যা করেছে অভিযুক্ত। যদিও তাঁর পরিবার এই কথা মানতে নারাজ। প্রসঙ্গত, সলমনের বাড়িতে হামলার ঘটনায় বারবার লরেন্স বিষ্ণোইর নাম উঠেছে। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সলমনের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই সুপারস্টারকে নিজের শত্রু হিসেবে মানে বিষ্ণোই। এর আগে একাধিকবার সলমন খানকে হুমকি দিয়েছে সে। বর্তমানে আহমেদাবাদের সবরমতী সেন্ট্রাল প্রিজনে রাখা হয়েছে লরেন্সকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.