সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গুজারিশ’ ছবির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। সেখানে হুইল চেয়ার ছিল হৃতিকের সর্বক্ষণের সঙ্গী। কিন্তু, সে তো পর্দায়। বাস্তব জীবনে যদি হৃতিককে চব্বিশ ঘণ্টাই হুইল চেয়ারেই কাটাতে হত? নাচের জন্যই বিখ্যাত হৃতিক রোশন। সেই নাচকেই তো চিরবিদায় জানাতে হত তাঁকে। ফ্যানেরা তো এমন কথা ভাবতেই পারবেন না। অথচ হৃতিকের সঙ্গে এমনটাই হতে চলেছিল।
হৃতিক আর নাচ একে অপরের পরিপূরক। নাচ ছাড়া তিনি অসম্পূর্ণ। তাঁর ‘এক পল কা জিনা’ বা ‘ম্যায় অ্যায়সা কিঁউ হুঁ’ বা ‘ধুম মচালে’ একসময় ঝড় তুলে দিয়েছিল। তিনি যদি হুইল চেয়ারে থাকতেন, তাহলে এসবের কী হত? হৃতিকের বোন সুনয়না রোশন জানিয়েছেন, দাদার সঙ্গে এমনটাই হতে চলেছিল। আর তাঁর ডেবিউ ছবি ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’-এর সময়ই হতে চলেছিল। নিজের ব্লগে সুনয়না লিখেছেন, হৃতিক বরাবরই অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন। তিনি অভিনয়ের জন্য ট্রেনিংও নিতে শুরু করেছিলেন। পাশাপাশি চলত নাচের কোচিং নেওয়াও।
[ কর্কট-লড়াইয়ে জয়, ফের রূপোলি পর্দায় ফিরছেন ইরফান ]
বরাবরই নাচের প্রতি প্যাশনেট ছিলেন হৃতিক। কিন্তু নাচ করতে গিয়ে হঠাৎই তাঁর পিঠে খুব যন্ত্রণা শুরু হয়। ব্যথা এতটাই বেড়ে যায় যে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। পরীক্ষানিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান তাঁকে তাঁর স্বপ্নের কথা ভুলে যেতে হবে। নাচ তো বটেই, অভিনয়ও ছাড়তে হবে তাঁকে। কোনও রকম অ্যাকশন সিকোয়েন্স করা যাবে না। কারণ এমন সিন শুট করতে গেলে বা নাচ করতে গেলে পিঠে চাপ পড়বে। তখনই বাড়বে ব্যথা। আর তারপরই হুইল চেয়ারে কাটাতে হবে তাঁকে। যদি সারা জীবন নাও হয়, অন্তত পাঁচ বছর তো বটেই।
ডাক্তার যখন এ কথা বললেন, তখন নিজের প্রথম ছবির জন্য তৈরি হচ্ছেন হৃতিক। স্বভাবতই তিনি এসব শুনে ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু আশা ছাড়েননি। ফলশ্রুতি প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেছিলেন তিনি। তার ‘এক পল কা জিনা’ মাতিয়ে দিয়েছিল আপামর দেশবাসীকে।
[ ‘স্বজনপোষণ ইন্ডাস্ট্রির একটা অঙ্গ’, অবশেষে স্বীকারোক্তি বরুণের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.